বৈশ্বিক হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যেভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে, অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই একই ধরনের সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন সুনাক। সেখানে এ সপ্তাহেই তার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যুক্তরাজ্য চীনের উত্থান, রাশিয়ার আগ্রাসন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের কারণে আরও অস্থির হয়ে ওঠা বিশ্বে নিজেদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ওয়াশিংটনের সাথে আরও বেশি জোটবদ্ধ হতে চাইছে। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানায়, প্রধানমন্ত্রী সুনাক এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতা এবং কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বুধবার তিনি ওয়াশিংটন পৌঁছান। এক বিবৃতিতে সুনাক বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা যেমন আমাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা দিয়েছে, তেমনি বৃহত্তর অর্থনৈতিক আন্তঃকার্যক্ষমতা আমাদের সামনের দশকগুলিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এনে দেবে।
যারা একসময় ব্রেক্সিটকে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম অর্থনৈতিক পুরস্কার হিসাবে সমর্থন করেছিল তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি পূর্ণ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চুক্তিতে অনিচ্ছা দেখানো হলে পরবর্তী সরকারগুলি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরিবর্তে পৃথক পৃথক ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক চুক্তি করে। পরিবেশের সুরক্ষায় বাইডেন সরকার সমপ্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং অন্যান্য ক্লিন টেকনোজলির বিকাশে ৩৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভর্তুকি চালু করার পরে সুনাক সরকারের উপরও একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।