সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ট্রাফিকিংয়ের বিকল্প নেই। গরম, শীত, বৃষ্টিতে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন আমাদের ট্রাফিক ভাইয়েরা। তবু রাস্তার যানবাহন জটিলতাসহ যেকোন দুর্ভোগের দায় পড়ে ট্রাফিকের ওপর। এটা অন্যায়। আমাদের প্রত্যেককে যার যার স্থান থেকে স্যাক্রিফাইস করার মানসিকতা থাকতে হবে। সমন্বয় থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মধ্যে। তবেই সুফল পাবে নগরবাসী। গতকাল সিএমপির ট্রাফিক–উত্তর বিভাগের ট্রাফিক পক্ষের (৪–১৮ জুন) উদ্বোধনকালে সিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। সকাল ১১টায় নগরীর দামপাড়াস্থ হযরত গরীবুল্লাহ শাহ (র.) মাজার এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সিএমপি কমিশনার সোহাগ বাস কাউন্টারের ভেতরে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সুবিধার্থে স্বপ্নযাত্রী অবসর পাঠাগারের (বুক কর্নার) উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান চলাকালীন রাস্তায় চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে পরিবহনের মালিক, চালক ও জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানান সিএমপি কমিশনার। পরে যাত্রী উঠা–নামা করার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত বাস স্টপেজ পরিদর্শন করেন তিনি। সিএমপির উপ কমিশনার (ট্রাফিক–উত্তর) জয়নাল আবেদীন বলেন, ট্রাফিক পক্ষ উপলক্ষে আমরা উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মূলত নগরবাসীকে সচেতন করতেই এ উদ্যোগগুলো নেয়া হয়েছে। যেমন– আমরা আপাতত দুইটি এলাকা জিইসি এবং ২ নং গেট এলাকায় বাস থামার জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ট্রাফিক পক্ষে আমরা চেষ্টা করব বাসগুলোকে নির্ধারিত জায়গায় থামাতে। যদি সফল হই তবে অন্য এলাকাগুলোতে চেষ্টা করব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম.এ মাসুদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–দক্ষিণ) এন এম নাসিরউদ্দিন, উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–বন্দর) মোস্তাফিজুর রহমানসহ অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সকল ট্রাফিক ইন্সপেক্টরসহ বিভিন্ন পরিবহনের মালিক–চালক–শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্কুল–কলেজের স্কাউটের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।