চট্টগ্রামের বাঁশখালীর খানখানাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় মো. কায়ছার সিকদার(৪৫) গতকাল শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কায়ছারের মৃত্যুতে তার ভাই আনছার সিকদার বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে দুইজনকে।
কায়ছারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আল নুরের ছেলে মো. আকবর ও মেজবাহ উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার ব্যাপারে নিহতের প্রবাসী ভাই মঞ্জুর আলম সিকদার বলেন, “প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হেলমেট দিয়ে মেরে ও অণ্ডকোষ ছিপে হত্যা করা হয়।” সেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
একই কথা বললেন নিহতের মা রোকেয়া বেগম(৭০)। তিনিও তার বড় ছেলে কায়ছারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নিহত কায়সারের চাচা মোজাহের আহমদ সিকদার বলেন, “কায়ছার যার কাছ থেকে পাঁচ গণ্ডা জায়গা খরিদ করে তিনি কিছুদিন পর মারা গেলে আল নুরের ছেলেরা বিরোধ শুরু করে। তারই জের ধরে কায়ছারকে খুন করা হয়েছে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মুজিবুর রহমান বলেন, “আমি ওসি মহোদয়ের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কায়ছারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পথে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে আল নুর ও তার ছেলে আকবরকে ধরে রামদাশ হাট পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করি।”
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় কায়ছারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে এলাকায় পৌঁছার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের ভাই আনছার সিকদার বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “খানখানাবাদের ঘটনার ব্যাপারে আনছার সিকদার বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে এজাহার দাখিল করা হয়েছে। প্রদত্ত এজাহারের ২নং ও ৭নং আসামী আটক রয়েছে।” বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।