আগ্রাবাদ এবং চিটাগাং মাস্টার্স ফাইনালে

মাস্টার্স কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

মাস্টার্স টিটোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে আগ্রাবাদ মাস্টার্স এবং চিটাগাং মাস্টার্স। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বতাপূর্ণ হলেও প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি ছিল একেবারেই এক তরফা। গতকাল শুক্রবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে আগ্রাবাদ মাস্টার্স ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। বলা যায় আগ্রাবাদ মাস্টার্সের উদ্বোধনী ব্যাটার ফারুখ টিটুর ব্যাটিং তান্ডবে উড়ে গেছে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব। ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছেন টিটু। আরেক সেমিফাইনালে চিটাগাং মাস্টার্স ৫ উইকেটে লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে।

দিনের প্রথম সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নামা হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব কোন রান যোগ হওয়ার আগে উইকেট হারালেও পরের ব্যাটাররা বেশ ভালই প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বিশেষ করে আরাফাত এবং সামিউলের ব্যাটে চড়ে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে হাক্কানী ক্রিকেট ক্লাব। দলের পক্ষে আরাফাত ১৪ বলে ৩০ এবং সামিউল ৪১ বলে করেন ৩৭ রান। অন্যান্যের মধ্যে ইমরান ১৪, মাহমুদুল হাসান ১২ এবং আলী নওশাদ ১১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। আগ্রাবাদ মাস্টার্সের পক্ষে ৮ রানে ৩ উইকেট নেন সুমন সাহা। ২ টি উইকেট নিয়েছেন রুবেল দেবনাথ। ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা আগ্রাবাদ মাস্টসের্র দুই ওপেনার শুরু থেকেই ঝড় তুলতে থাকে। বিশেষ করে ফারুক টিটু ব্যাট হাতে রীতিমত তান্ডব চালিয়েছেন। তার সাথে দারুন সঙ্গ দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। মুলত তাকে দর্শক বানিয়ে রাখেন টিটু। দুজন মিলে ১৫.৩ ওভারে ম্যাচ শেষ করে আসেন। টিটু ৬১ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার এবং ১১ টি ছক্কা মেরেছেন। এটি টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি। অপরদিক ৩৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি তিনটি চার এবং দুটি ছক্কা মেরেছেন। ম্যাচ সেরা হতে টিটুর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস সহ সভাপতি দিদররুল আলম চৌধুরী। দিনের অপর সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুন সূূচনা করেছিল লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাব। দুই ওপেনার জাহিদুল এবং মাহফুজ মিলে ৫১ রান তুলে নেন। ২৭ বলে ৪১ রান করে জাহেদুল ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। তবে লিজেন্ড এর পরের ব্যাটাররা আর দাঁড়াতে পারেনি। ফলে ভালো শুরুর পরও ১৩৩ রানে থামে লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস। অন্যান্যের মধ্যে মাহফুজ ৩৮ আর বেলাল জনি ১৭ রান ছাড়া বাকি কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। চিটাগাং মাস্টর্সের পক্ষে আজিম উদ্দিন এবং ডালিম চৌধুরী নিয়েছেন ৩ টি করে উইকেট। ১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা চিটাগাং মাস্টার্স শুরুটা ভালো করতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে আশফাক এবং একরাম মিলে ৮২ রান যোগ করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন। কিন্তু মাত্র পাঁচ বলের ব্যবধানে আশফাক, একরাম এবং রিয়াদ ফিরে এলে বিপদে পড়ে চিটাগাং মাস্টার্স। তবে শাবিব আর নাইমের ব্যাটে চড়ে তিন বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় চিটাগাং মাস্টার্স। দলের পক্ষে আশফাক ৩৯ বলে ৩৫, ইকরাম ৪৪ বলে ৪৩, শাবিব ১০ বলে ১৭ এবং নাইম ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ৩ টি উইকেট নিয়েছেন প্রনব কুমার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন চিটাগাং মাস্টার্সের আজিম উদ্দিন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য জি এম হাসান। আজ বেলা সাড়ে বারটায় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে লড়বে চিটাগাং মাস্টার্স এবং আগ্রাবাদ মাস্টার্স।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅলিম্পিয়া ফিটনেস ক্লাবের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয় বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন