রাঙ্গুনিয়ায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইটভাটা ম্যানেজারকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের মীরেরখীল ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দিলদার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন একই এলাকার কেবিডব্লি ইটভাটার ম্যানেজার জবিউল হক রিয়াজ। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রিয়াজ। যেখানে ইউপি সদস্য ছাড়াও মোহররম আলী নামের অপর এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জবিউল হক রিয়াজ তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি উপজেলার সরফভাটা মীরেরখীল এলাকার কেবিডব্লিউ ইটভাটায় ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি অফিসে বসে ব্রিক ফিল্ডের হিসাব করছিলেন। এ সময় ইউপি সদস্য দিলদার ও মোহরম হঠাৎ অফিসে প্রবেশ করে কোনো কথা ছাড়াই ব্রিক ফিল্ডের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলেন। রিয়াজ কারণ জিজ্ঞেস করতেই ইউপি সদস্য দিলদার উত্তেজিত হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা ব্রিকফিল্ডের ক্যাশবাঙে থাকা নগদ সাত লাখ ৭৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গেল কয়েকদিন আগেও একই এলাকার স্থানীয় এক দোকানদারকে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় আরও একটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দিলদার হোসেন বলেন, ইটভাটা ম্যানেজারকে আমি কোনরকম মারধর করিনি। তার কাছ থেকে কেউ টাকাও নেয়নি। মোহররম ওই ইটভাটা থেকে টাকা পাওনা রয়েছে। এসবের বিষয়ে তার সাথে আমিসহ গেলে এই নাটক সাজিয়েছে তারা। মূলত মোহরমের পাওনা টাকা না দিতেই এসব করছে তারা।
আর দোকানীকে পেটানোর প্রসঙ্গে বলেন, একটি অভিযোগ পেয়ে ওই দোকানদারকে জিজ্ঞেস করতে গেলে দোকানদার তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। একপর্যায়ে লাঠি হাতে তেড়ে আসলে তিনিও প্রতিহত করেন। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মারার দৃশ্যটা কেটে দিয়ে আমারটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এই ব্যাপারে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য দিলদারের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাথে এসব ঘটনার ভিডিও দিয়েছে। এসব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে।