জুম্‌’আর খুতবা

কুরআন হাদীসের আলোকে হজ্বের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ২ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!

আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, জেনে রাখুন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। হজ্ব ইসলামের পঞ্চ বুনিয়াদের অন্যতম ফরজ ইবাদত। জীবনে একবার হজ্বব্রত পালন করা ফরজ। হজ্ব ফরজ হওয়ার বিষয়টি পবিত্র কুরআন, মহানবীর হাদীস ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত।

পবিত্র কুরআনের আলোকে হজ্বের বিধান: হজ্বের মৌলিক বিধিবিধান সংক্রান্ত অসংখ্য আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সে ঘরের হজ্ব করা তার উপর ফরজ। এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্ব জগতের মুখাপেক্ষী নন।” (:৯৭)

খলীলুল্লাহ হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম মক্কা মুকারারমার নির্মান কাজ সম্পন্ন করার পর আল্লাহ তা’আলা তাঁকে হজ্বের ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিলেন, এরশাদ করেছেন, এবং মানুষের নিকট হজ্বের ঘোষণা করে দাও তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্টীসমূহের পিটে, তারা আসবে দূরদূরান্তের পথ অতিক্রম করে। (২২:২৭)

আল্লাহ তা’আলার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বায়তুল্লাহ শরীফের সামনে অবস্থিত “জাবালে আবু কুবায়স” পাহাড়ে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন যে, আমি আল্লাহর ঘর ক্বা’বা নির্মান করেছি হে মানবমন্ডলী! তোমরা ক্বা’বার হজ্ব ও যিয়ারতের জন্য এসো, এক বর্ণনামতে চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা এ পাহাড়েই সংঘটিত হয়েছে। মুজাহিদ (.)’র বর্ণনা মতে আল্লাহ তা’আলা সর্ব প্রথম এ পাহাড়টিই সৃষ্টি করেছেন। এক বর্ণনায় এসেছে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে হজ্বের ঘোষণার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার দরবারে আর্জি করলেন ইয়া আল্লাহ! তোমার বান্দাতো গোটা পৃথিবীতে বিস্তৃত ও বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে, আমার আহবান সর্বত্র কিভাবে পৌছবে? আল্লাহর পক্ষ থেকে হুকুম হলো, হে ইবরাহীম! আহবান করা তোমার কাজ, গোটা পৃথিবীর মানুষের কর্ণ কুহরে তোমার ডাক ও আহবান পৌছিয়ে দেওয়া আমি আল্লাহর কাজ। মহান আল্লাহর হুকুম ও ইচ্ছায় উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম দিগ দিগন্তে সমগ্র মানব জাতি এ আওয়াজ শুনতে পেলো। কেবল তখনকার বিদ্যমান মানুষগুলোর কর্ণ কুহরে এ বার্তা পৌছেনি বরং কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে আগমনকারী নারী পুরুষগন রুহের জগতে আল্লাহর নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর এ ঘোষণা শুনেছেন। যারা তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে লাব্বাইকা বলেছিলেন, তাদের পক্ষে হজ্বব্রত পালন করার সৌভাগ্য নসীব হবে। যে যতবার “লাব্বাইক” বলেছে ততবার সে হজ্ব করার সৌভাগ্য অর্জন করবে। (তারিখে মক্কা, রুহুল বয়ান, আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ৩য়, পৃ: ২৯৩)

হজ্বের আভিধানিক ও শরয়ী অর্থ: আভিধানিকভাবে হজ্ব অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা বা কোনোস্থানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গমন করা। বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (.) (মৃ.৮৫৫ হি./১৪৫১ খ্রি.) বলেন, নির্দিষ্ট কতিপয় কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে সম্মানার্থে বায়তুল্লাহ শরীফের পবিত্র গৃহের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সংকল্প করাকে হজ্ব বলা হয়।

হাদীস শরীফের আলোকে হজ্ব জীবনে একবার ফরজ। হজ এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ফযীলতপূর্ণ শারীরিক ও আর্থিক সমন্বিত ইবাদত যা সামর্থবান মুসলিম নরনারীর উপর জীবনে একবার ফরজ। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবুদল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, হে মানব মন্ডলী! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হজ্ব ফরজ করেছেন, হযরত আকরা বিন হাবেস দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ! প্রতি বৎসর কি ফরজ? নবীজি এরশাদ করেন, যদি আমি হ্যাঁ বলতাম তাহলে ওয়াজিব হয়ে যেত। যদি ওয়াজিব হতো তোমরা তা পালন করতে সক্ষম হতে না। হজ্ব কেবল একবার ফরজ। যে ব্যক্তি কয়েকবার করবে সেটি হবে নফল। (আবু দাউদ, হাদীস: ১৭২১, নাসাঈ, হাদীস ২৬২০)

শরয়ী বিধানে নবীজির এখতিয়ার রয়েছে। বর্ণিত হাদীস শরীফে প্রশ্নকারী জিজ্ঞেস করেছেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ হজ্ব কি প্রতিবৎসর ফরজ। উত্তরে নবীজি যদি হ্যাঁ বলতেন প্রতি বৎসর হজ্ব করা উম্মতের জন্য ফরজ হয়ে যেত। প্রতীয়মান হলো, আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দীন ও দুনিয়ার প্রতিটি বিষয়ে এখাতিয়ার ও স্বাধীনতা দিয়েছেন। (আনোযারুল বয়ান, খন্ড: ৩য়, পৃ: ২৯৪)

হজ্ব শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত: ইবাদত তিন প্রকার। ১. ইবাদতে বদনী তথা শারীরিক ইবাদত। যেমন পঞ্জেগানা নামায। ২. ইবাদতে মালী তথা আর্থিক ইবাদত। যেমন যাকাত আল্লাহর পথে আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের লক্ষ্যে দান সাদকা করা। ৩. ইবাদতে বদনী ও মালী তথা শারীরিক ও আর্থিক উভয়টির সমন্বিত ইবাদত। যেমন: হজ্বব্রত পালন করা। এতে শারীরিক সক্ষমতা ও আর্থিক সামর্থ সক্ষমতা দুটিই অপরিহার্য।

হজ্ব কখন ফরজ হয়: হজ্ব কোন সনে ফরজ হয় এ নিয়ে মুজতাহিদ ফকীহ গণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কারো মতে ৬ষ্ঠ হিজরিতে, কারো মতে ৭ম হিজরিতে, কারো মতে ৮ম হিজরিতে হজ্ব ফরজ হয়েছিল তবে বিশুদ্ধ মতে নবম হিজরিতে হজ্ব ফরজ হয়। যেহেতু সূরা আলে ইমরান এর ৯৭ তম আয়াত ওয়ালিল্লাহি আলান নাসি হিজ্জুল বাইতি আয়াতটি নবম হিজরির শেষের দিকে নাযিল হয়। এ আয়াত নাযিলের মাধ্যমে হজ্ব ফরজ করা হয়। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবম হিজরিতে রাসূলুল্লাহর নির্দেশে হজ্ব পালন করেছেন। ১০ম হিজরির জিলক্বদ মাসে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং হজ্বে গমনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন এবং এ ঘোষণা ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হয়। নবীজি ১০ম হিজরির জিলক্বদ মাসে ২৫ তারিখ শনিবার দিন যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে মদীনা শরীফ থেকে মক্কার উদ্দ্যেশে রওয়ানা হন। মুহাজির আনসারসহ সাহাবায়ে কেরামের এক বিশাল নুরানী কাফেলা নবীজির সাথে রওয়ানা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করলেন। যাদের সংখ্যা নব্বই হাজার অথবা এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার অথবা এর চেয়েও অধিক ছিলো। (শরহে মাওয়াহিব, খন্ড: , পৃ: ১০৫, সীরাতুল মুস্তফা, খন্ড:, পৃ: ১৪১)

জিলহজ্ব মাসের ৪ তারিখ রবিবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা মুকাররমায় প্রবেশ করেন। এ হজ্বে নয়জন উম্মুল মু’মিনীন ও হযরত ফাতেমাতুয যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা নবীজির সাথে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা হতে মদীনায় হিজরতের পর প্রথম হজ্ব হলেও এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ হজ্ব ইসলামের ইতিহাসে এ হজ্বিট বিদায় হজ্ব নামে প্রসিদ্ধ।

হজ্ব ও ওমরার ফযীলত সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা একত্রে পরপর হজ্ব ও ওমরা আদায় করো, কেননা হজ্ব ও উমরা দারিদ্র ও গুনাহ সমূহ দূরীভূত করে যেমন হ্যাঁপরের আগুন লোহা ও স্বর্ণ রূপার ময়লা দূর করে, আর আল্লাহর দরবারে মকবুল হজ্বের সওয়াব অবশ্যই জান্নাত। (তিরমিযী, হাদীস নং: ৮১০, নাসঈ, হাদীস নং: ২৬৩২)

হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্য হজ্ব করল এবং স্ত্রী সম্ভোগ ও কবীরা গুনাহ থেকে বিরত রইলো সে মাতৃগর্ভ হতে সদ্য প্রসূতের ন্যায় নিস্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করল। (বুখারী শরীফ, মুসলিম, খন্ড: , পৃ: ৪৩৬, আনোয়ারুল বয়ান, খন্ড: , পৃ: ২৯৪)

হাজীর পথিমধ্যে মৃত্যু হলে: হজ্ব ও ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর অসুস্থতা জনিত বা দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুবরণ করলে হজ্বের বিধি বিধান পালন করার সুযোগ না হলেও আল্লাহ তা’আলা তাকে হজ্ব ও উমরা পালনকারীর সওয়াব দানে ধন্য করবেন। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্ব উমরা অথবা জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হল অতঃপর পথিমধ্যে মৃত্যুবরণ করল তার আমল নামায় জিহাদকারী হজ্বকারী ও উমরাকারী হিসেবে সওয়াব লিপিবদ্দ করা হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদীস: ৩৮০৬, বাহারে শরীয়ত: খন্ড: , পৃ: )

সামর্থবান হওয়া সত্ত্বেও হজ্ব না করার পরিণতি: হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্বে গমনের সামর্থবান হলো কিন্তু হজ্ব করল না, তাহলে সে ইয়াহুদী অথবা খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। (তিরমিযী, হাদীস: ৮১২, মিশকাত: পৃ:২২২)

হে আল্লাহ আমাদেরকে তোমার প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে হিদায়ত দান করুন। হজ্বে বায়তুল্লাহ ও যিয়ারতে মুস্তফা নসীব করুন। আমীন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসাএ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

মুরশেদুল আলম কাদেরী

ছিপাতলী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: বদলী হজ্ব সম্পর্কে ইসলামের বিধান জানালে উপকৃত হব।

উত্তর: বদলী হজ্বের ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তের কিছু শর্ত রয়েছে। প্রথমে জানা প্রয়োজন যে, যত প্রকার ইবাদত রয়েছে নামায রোজা হজ্ব যাকাত, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ, তাহলীল ইত্যাদি। তা তিন প্রকার।

. ইবাদতে বদনী, শারীরিক ইবাদত যেমন নামায রোযা ইত্যাদি এ প্রকারের ইবাদত প্রতিনিধির মাধ্যমে করানো জায়েয নেই। যার ইবাদত তাকে করতে হবে।

. ইবাদতে মালী, আর্থিক ইবাদত যেমন যাকাত সাদকাতুল ফিতর এ প্রকারের ইবাদত প্রতিনিধির মাধ্যমে আদায় করা জায়িজ আছে।

. ইবাদতে বদনী ও মালী, দৈহিক ও আর্থিক সমন্বিত ইবাদত, যেমন ফরজ হজ্ব এতে দৈহিক পরিশ্রম হয় ও সম্পদ ব্যয় হয়। এ প্রকার ইবাদত অন্য জনের দ্বারা বদলী করানো তখনি জায়িজ হবে যদি নিম্নোক্ত শর্ত পাওয়া যায়, নিজের হজ্ব নিজে করতে অক্ষম হওয়া। সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে অন্য জনের দ্বারা বদলী হজ্ব করানো জায়েজ হবে না।

যিনি পূর্বে নিজের ফরজ হজ্ব আদায় করেছেন এমন ব্যক্তির দ্বারাই বদলী হজ্ব করানো উত্তম। (আলমগীরি ১ম খন্ড)

যিনি বদলী হজ্ব করাবেন হজ্বের সফরের যাবতীয় খরচ তাকেই বহন করতে হবে। যার উপর হজ্ব ফরজ হয়নি এমন ব্যক্তি দ্বারা বদলী হজ্ব করা জায়িজ। এ ক্ষেত্রে বদলী হজ্ব করানোর জন্য মুত্তাকী পরহেজগার অভিজ্ঞ আলেমেদ্বীন নির্বাচন করাই উত্তম। (বাহারে শরীয়ত, ৬ষ্ঠ খন্ড: পৃ: ১২০১১২০৩)

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুলিও কুরি এবং বঙ্গবন্ধু
পরবর্তী নিবন্ধসর্বজনীন পেনশন নতুন অর্থবছরেই