নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন খোয়াজনগর এলাকায় ১২ বছর আগে আবদুর সবুর নামের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, মো. জাবেদ ও হাবিজ আহমদ। একই রায়ে মিন্টু মিয়া নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, নুরুল আলম মেম্বার, হোসনে আরা, তারা বানু ও পেয়ার আহমদ। গতকাল চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে মোটামোটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ আজাদীকে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরাধ প্রমানিত না হওয়ার মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারক ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। চার্জশিটে মোট সাক্ষী ছিলেন ১৫ জন। যাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাদের বিষয়ে বক্তব্য কী জানতে চাইলে এম সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বলেন, রায় পড়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর আবদুর সবুরকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিনই আবদুর সবুরের স্ত্রী খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা আবদুর সবুরের জায়গা দখল করার চেষ্টা করলে তিনি তাতে বাধা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা তার উপর হামলা করেন। আদালত সূত্র আরো জানায়, আবদুর সবুর হত্যা মামলায় ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এজহারভুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বলেন, চার্জগশিটভুক্ত ৯ জনের মধ্যে একজন চার্জগঠনের আগেই মারা যান। অপর একজন চার্জগঠনের পর মারা যান।