বাঁশখালীতে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলছেন, কাঁকরোল চুরির অভিযোগে পিটুনি দেওয়ার পর অভিমানে বাড়ি গিয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। ওই যুবকও কাঁকরোল চাষি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে মারা গেছেন ওই যুবক। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
মৃত মো. হাবিব উল্লাহর (২৮) বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব জঙ্গল চাম্বল গ্রামের হায়দরী পাড়ায়। এ ঘটনায় পুলিশ একই গ্রামের তিন জনকে আটক করেছে। এরা হলেন– দোস মোহাম্মদ (৩৫), আব্দুল কাদের বরাত (২৭) এবং সাকিব (২২)।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন আজাদীকে জানান, গ্রামে হাবিব ও সাকিবের পাশাপাশি কাঁকরোল ক্ষেত আছে। মঙ্গলবার ভোরে সাকিবের ক্ষেত থেকে কাঁকরোল চুরির অভিযোগে হাবিবকে আটকে রেখে খবর দেয় সে একই গ্রামের বরাতকে। খবর পেয়ে বরাত দোস মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেতে যান। তিনজন মিলে হাবিবকে বেঁধে মারধর করে।
ওসি কামাল বলেন, হাবিবকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তার মা ও স্ত্রী কাঁকরোল ক্ষেতে যান। তারা হাবিবকে মারধর না করে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সালিশের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। সাকিব সেখান থেকে ইউপি সদস্যকে মৌখিক অভিযোগ দিয়ে হাবিবকে ছেড়ে দেন। বিকেলে সালিশের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ইউপি সদস্য। কিন্তু এর মধ্যে হাবিব বাড়িতে এসে ক্ষেতের বিষপান করে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হয়। পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গত মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, হাবিবের স্ত্রী রোকসানা আক্তার দাবি করেছেন, সাকিব, বরাত ও দোস মোহাম্মদ মিলে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাধা দেন হাবিব। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা দা’র পেছনের অংশ ও লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে হাবিবকে গুরুতর আহত করে। হাবিব জ্ঞান হারালে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।