সম্মেলনের বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ কমিটি না দেওয়ায় হতাশা

শুকলাল দাশ | মঙ্গলবার , ৩০ মে, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০২২ সালের আজকের এই (৩০ মে) দিনে। সম্মেলনের পর দীর্ঘ এক বছরেও মহানগরীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জেলায় যুবলীগের কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতারা। পদপ্রত্যাশীদের আশার বাণী শোনাতে শোনাতেই বছর পার হয়ে গেছে। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিএনপিযুবদলছাত্রদলসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির সহযোগী সংগঠনগুলো।

অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও পূর্ণ শক্তি নিয়ে চট্টগ্রামের রাজপথে সকল ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে সভাসমাবেশ করে আসলেও যুবলীগের নির্ধারিত কোনো কর্মসূচি নেই। শুধুমাত্র নগর যুবলীগের সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ উদ্যোগে মিছিলসভাসমাবেশ করছেন। সাংগঠনিক দায়িত্ব কারো হাতে না থাকায় নগর যুবলীগের সাংগঠনিক কাঠামো বলতে গেলে অনেকটা নিষ্ক্রিয়। সরকার বিরোধী আন্দোলন মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ কোনো কর্মসূচি নেই। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী পক্ষের রাজপথের আন্দোলন মোকাবেলায় অতীতে যুবলীগের মতো সংগঠনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এখন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও চট্টগ্রামে যুবলীগ এক বছর ধরে অভিভাবকহীন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ মে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের, ২৯ মে উত্তর জেলা যুবলীগের এবং ৩০ মে মহানগর যুবলীগের ধারাবাহিক সম্মেলন করেছিল কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্ভাব্য পদপ্রত্যাশীদের জানিয়েছিলেন তারা ঢাকায় গিয়ে প্রাপ্ত বায়োডাটা যাচাইবাছাই কমিটি দেবেন।

সম্মেলনের দীর্ঘ ৬ মাস পর গত বছরের ১৬ নভেম্বর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে।

অপরদিকে সম্মেলনের দীর্ঘ ৯ মাস পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর জেলা যুবলীগের ৩২ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। কিন্তু এক বছরেও মহানগরের মতো এলাকায় কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা নানান সমীকরণে ব্যস্ত। এদিকে নগর কমিটি আশায় দীর্ঘ এক বছর ধরে চট্টগ্রামের রাজপথে প্রতিনিয়ত সক্রিয় আছেন প্রায় ডজন খানের যুবনেতা। তারা প্রত্যেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।

মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যারা নানাভাবে চেষ্টাতদ্বিব করছেন এবং আলোচনায় আছেন তারা নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য ও কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য দিদারুল আলম দিদার, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু, নগর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী সুজন, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য নুরুল আনোয়ার ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়াও আলোচনায় আছেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সুরজিৎ বড়ুয়া লাবু, নগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সনৎ বড়ুয়া, শেখ নাছির আহমদ, মনোয়ার উল আলম চৌধুরী নোবেল, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, সুমন দেবনাথ, ইঞ্জিনিয়ার আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, কেএম শহীদুল কাওসার, জাবেদুল আলম সুমন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলড়াইয়ে জিতল গরু, খুশিতে আত্মহারা মালিকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমূল্য তালিকা না টাঙানোয় আদা ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা