নারীর অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্বকারী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান এবং জাতির পিতার কন্যাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম.এ. লতিফ’র প্রতিষ্ঠিত স্বাধীনতা নারী শক্তি।
আজ সোমবার (২৯ মে) বিকেলে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে-বাংলা মায়ের পবিত্র মাটি হতে দিব না আর জঙ্গী তৈরির ঘাঁটি, মৌলবাদী আর জঙ্গী বিএনপির সঙ্গী, মৌলবাদের দিন শেষ, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ-শ্লোগান সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড নিয়ে সহস্রাধিক স্বাধীনতা নারী শক্তির নেত্রীবৃন্দ ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে এম.এ. লতিফ এমপি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরানের মতো ধর্মান্ধ তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় যদিও তারা গণতন্ত্রের আবরণে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে বিশ্বাস করে। অতীতে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলার মাটি প্রতিবেশী দেশের জঙ্গি ও বিচ্ছিতাবাদীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি প্রেরণ করে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কঠোরহস্তে এই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করে বিশ্বে প্রশংসিত হন। নারীদের যারা আফগানিস্তান ইরানের মতো অন্দরমহলে রাখতে চেয়েছিল সেইসব নারীদের ক্ষমতায়ন করে বিশ্বের বুকে নারী জাগরণে রোলমডেলে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই রক্তস্নাত স্বাধীন এই বাংলাদেশে মৌলবাদের ঠাঁই করার সকল ষড়যন্ত্র রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল প্রগতিশীল জাতিকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “গণতন্ত্রের কথা বলে নৈরাজ্য ও ধ্বংসলীলা চালিয়ে বিএনপি-জামায়ত চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই চক্রের ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে দেশের আপামর জনতা।”
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. আসলাম, চিটাগাং চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, লবণ শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন, বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, ২৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগ’র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবদুর রহিম, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লুৎফুল এহসান শাহ, স্বাধীনতা নারী শক্তির পরিচালক মনিকা ভট্টাচায্য, সাইকা দোস্ত, রোকসানা আক্তার ভুলু, গুলতাজ বেগম শান্তা, পারভিন আক্তার সোনিয়া, মোহছেনা আক্তার, শাহিনুর আক্তার, আমেনা খাতুন, অধ্যাপক বিবি মরিয়ম, রুনা আক্তার, সৈয়দা ইসরাত জাহান, গোল নাহার, নুর বেগম নুরী, জোলেখা বেগম, হালিমা বেগম, মাহাবুব আরা, জাহিদা আক্তার, শাহনাজ বেগমসহ সহকারী পরিচালক ও ইউনিট নেত্রীবৃন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামীলীগ’র অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।