১০ মিনিটের অপেক্ষা। এর মধ্যে প্রায় ২০টি গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে গেল সড়কের উল্টোপথ ধরে। ছিল প্রশাসনের গাড়িও।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বাইপাস সড়কে এ চিত্র নিত্যদিনের। সাড়ে ৪ কিলোমিটার এ সড়কের ৫টি পয়েন্টে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে দ্রুতগতিতে উল্টোপথ ধরে চলছে শত শত গাড়ি। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশসহ কতৃপক্ষের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের কমলমুন্সির হাট (গিরি চৌধুরী বাজার এলাকার) গোল চত্বর, ভাটিখাইন রাস্তার পয়েন্ট, আলমদার পাড়া রাস্তার পয়েন্ট, বৈলতলী রাস্তার মাথার পয়েন্ট ও ফারুকী পাড়া পয়েন্টগুলোতে উল্টোপথে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চলাচল করছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এ পাঁচ স্পট ছাড়াও ভাটিখাইন পয়েন্টে ৩০০ মিটার ডিভাইডারের পর ইউটার্ন দেয়া হলেও রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন এ ৩০০ মিটার ইউটার্ন পার না হয়েই ১০ মিটার পথ অতিক্রম করে উল্টোপথে চলাচল করছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে এ বাইপাস সড়কে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ও ছোট পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা উল্টোপথে চলা দ্রুতগতির এসব গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আবু ছালেহ মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, উল্টোপথে দ্রুতগামী গাড়ির কারণে এ পর্যন্ত অনেক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। তাছাড়া সড়ক বিভাগ বাইপাসের বেশ কিছু অংশে দীর্ঘ ডিভাইডার নির্মাণ করায় বিভিন্ন পয়েন্টে উল্টোপথে গাড়িগুলো চলাচলা করছে। ডিভাইডারের কারণে বেশি দূর দিয়ে ঘুরে আসতে হয় বলে স্থানীয় গাড়িগুলো উল্টোপথে বাইপাসে উঠে। এই কারণে দ্রুত গতির গাড়ির সাথে সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটছে।
দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করে গাড়ি চলাচল করলে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটবেই। তাছাড়া বাইপাসের ভাটিখাইন পয়েন্টে দুর্ঘটনারোধে ৩০০ মিটার ডিভাইডার স্থাপন করা হলেও, যানবাহনগুলো এটাকে দূরত্ব মনে করে তা না মেনে উল্টোপথে চলছে। মহাসড়কের কমলমুন্সির হাট (গিরি চৌধুরী বাজার এলাকার) গোল চত্বর বিষয়ে তিনি বলেন, জাইকার অধীনে মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে। তখন গিরি চৌধুরী বাজার এলাকার গোলচত্বরটি আরো আধুনিকায়ন ও সংস্কার করার কাজ করা হবে।
পটিয়া বাইপাসে উল্টোপথে গাড়ি চলাচলের সত্যতা নিশ্চিত করে ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, হাইওয়ে পুলিশ না থাকলেই চালকরা উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালায়। এ নিয়ে কয়েকটি গাড়িকে মামলাও দেয়া হয়েছে। তবে এখন থেকে উল্টোপথে গাড়ি চলাচল নিয়ে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।