ভূমিমনন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আশাপ্রকাশ করেছেন আগামী বছর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ২০০০ কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া সম্ভব হবে। এই অর্থের পরিমাণ ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম স্থাপনের পূর্বে ভূমি কর বাবদ আদায়কৃত অর্থের প্রায় তিন গুণ বা ২শ’ শতাংশেরও বেশি।
গতকাল বুধবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) উদ্যোগে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ বিষয়ক এক নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, শতভাগ ম্যানুয়াল কর ব্যবস্থায় ২০১৯–২০ সালে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয় প্রায় ৬২১ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করার পর সারা দেশে অনলাইন এলডি ট্যাক্স সিস্টেম রোল–আউটের সময়ে অর্থাৎ ২০২১–২২ সালে আদায় হয়েছে প্রায় ৮৬৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, মোট করের প্রায় ৩০ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে আদাইয়েই কর বেড়েছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমিকর ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে। খুব দ্রুত এই খসড়া জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের জন্য পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বর্ষ দেশে প্রচলিত অর্থবছরে (জুন–জুলাই) করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণা সমীক্ষা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের হেড অব কো–অপারেশন মোরিজিও সিয়ান সম্মানীয় অতিথি ছিলেন। এনবিআর–এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবিব মনসুর এবং স্নেহাশিস বড়ুয়া এফসিএ প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।