বাবুলের শ্বশুর আজও সাক্ষ্য দেবেন, ফের জেরা করা হবে তাকে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৩ মে, ২০২৩ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ও আর নিজাম রোডে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুনের শিকার মাহমুদা খানম মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনকে ৬ষ্ঠ কার্যদিবসেও জেরা করা শেষ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার তিনি আবারও সাক্ষ্য দিবেন। এরপর মিতুর স্বামী ও মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের আইনজীবীরা তাকে ফের জেরা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কেশব নাথ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাবুলের শ্বশুর মামলার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতের কাছে। উক্ত সাক্ষ্য বিষয়ে তাকে জেরা করা চলছিল। আজ (গতকাল) সেই জেরা করা কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। আমরা আদালতের কাছে একটি আবেদন করেছি। সেটা হচ্ছে, মঙ্গলবার (আজ) মামলার আলামতগুলো (বইপত্র ও অন্যান্য) উপস্থাপন করব এবং সে বিষয়ে বাবুলের শ্বশুর ফের সাক্ষ্য দিবেন। এরপর উক্ত সাক্ষ্য বিষয়ে তাকে বাবুলের আইনজীবীরা ফের জেরা করবে। শেষ হয়েও বাবুলের শ্বশুরকে জেরা করা শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে গতকালের জেরা বিষয়ে বাবুলের আইনজীবী কপিল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন তার সাক্ষ্যে বলেছেন ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীর সাথে পরকিয়ার জেরে বাবুল খুন করেছে মিতুকে। কিন্তু আমাদের কাছে থাকা তথ্যে দেখা যায়, গায়ত্রী বাবুলের চেয়ে ১০ বছরের বড়। বাবুলের জন্ম ১৯৭৫ সালে। গায়ত্রীর ১৯৬৬ সালে। বাবুল কঙবাজারে কর্মরত ছিলেন মাত্র ২৮ দিন। গায়ত্রী কোথাও এক মাসও অবস্থান করেন না। এমন অবস্থায় তাদের মধ্যে প্রেম বা পরকীয়া হয় কী করে? এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জানেন না। আইনজীবী কপিল উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, বাবুলের শত্রুরাই তাকে খুন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সত্য নয়।

আদালত সূত্র জানায়, মিতু হত্যা মামলায় গত ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল আক্তার কঙবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর কঙবাজার কার্যালয়ের কর্মী ও ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে স্ত্রী মিতুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। এর জেরে তাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বাবুল। একপর্যায়ে খুনিদের ৩ লাখ টাকায় ভাড়া করে মিশন শেষ করেন। পরে পরিকল্পনা মতো এ হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গিদের কাজ বলে প্রচারণা চালানো হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে মিতু খুন হন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনলাইনে মিলবে সেবা, সশরীরে যেতে হবে না ভূমি অফিসে
পরবর্তী নিবন্ধস্মার্ট ভূমিসেবার অন্যতম অনুষঙ্গ সুশাসন : ভূমিমন্ত্রী