রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ

জি-৭ সম্মেলন

| শনিবার , ২০ মে, ২০২৩ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জি৭ মিত্ররা গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার ‘ওয়ার মেশিন’ এবং মস্কোর লাভজনক হীরা বাণিজ্য এবং ইউক্রেন আক্রমণের সাথে যুক্ত আরও সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ধনী দেশ গুলোর সংগঠন জি৭ এর নেতারা জাপানের হিরোশিমায় রাশিয়ার ৪৫ বিলিয়ন ডলারের হীরার মস্কোর বাৎসরিক বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক করছেন। খবর বাসসের।

১৫ মাস আগে ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের কারণে দেশটি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে, যা তার দেশকে মন্দার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে এবং ক্রেমলিনকে যুদ্ধে নিঃশেষ করে দিয়েছে। জি৭ এখন বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলোকে আরও শক্ত করে, ত্রুটিগুলো খুঁেজ বের করে এবং আরও বেশি রাশিয়ান সংস্থা এবং তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের শাস্তিমূলক বিধিনিষেধের আওতায় আনতে চাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সপ্তাহান্তে ভার্চুয়ালি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে স্বাগতিক জাপানের জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি শেষ মুহূর্তে ব্যক্তিগতভাবে সম্মেলনে উপস্থিত হতে পারেন।

ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ‘রাশিয়ান হীরা চিরদিনের জন্য নয়’। ‘আমরা রাশিয়ান হীরার বাণিজ্যের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করব।’ ইইউ সদস্য রাষ্ট্র বেলজিয়াম ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে রাশিয়ান হীরার বৃহত্তম পাইকারি বাজার রয়েছে। জি৭ এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা বিভক্ত। রাশিয়ান অর্থনীতি ২০২২ সালে ২.১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এই প্রবণতা এই বছরের শুরুতে অব্যাহত ছিল। কিন্তু মস্কো দ্রুত খাপ খাইয়ে নিয়েছে। চীনের মতো মিত্রদের কাছে বাণিজ্যকে সরিয়ে দিয়েছে এবং কিউবা, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দীর্ঘ নিষেধাঞ্জার কবলে পড়া দেশগুলো থেকে ছল চাতুরির কৌশল ধার করেছে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০২৩ সালে ০.৭ শতাংশ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অনুমান করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেনের ভুট্টা রপ্তানি ৩০ শতাংশ কমার আশঙ্কা
পরবর্তী নিবন্ধআরব লীগ সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবে সিরিয়ার আসাদ