রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগস্টের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যাতে দোহাজারী থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে রেল নিতে পারি সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে ৮৪ ভাগ শেষ হয়েছে। এই লাইনে চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে আধুনিক ইঞ্জিন ও আধুনিক কোচ নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলো চলাচল করতে যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় তার জন্য কালুরঘাট সেতু নিয়ে স্টাডি করা হয়েছে। কাঠামোগত দিক দিয়ে কালুরঘাট সেতু ঠিক আছে। ঝুঁকিমুক্ত ট্রেন পারাপারের জন্য সেটির সংস্কার কাজ শুরু করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, কালুরঘাটে নতুন রেল ও সড়ক সেতু নির্মিত হতে একটু সময় লাগবে। এই সময়ের জন্যই পুরাতন কালুরঘাট সেতুটি ব্যবহার হবে। তিনি বলেন, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন শুধু এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে না। রেলে করে সারাদেশের মানুষ পর্যটন নগরী কঙবাজার যাবে তার জন্য অধীর আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছেন।
মন্ত্রী দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দোহাজারীতে নবনির্মিত রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে একথা বলেন। এর আগে দুপুরে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজায় ঝিনুক আকৃতিতে গড়ে তোলা আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের
নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালেও তিনি একই কথা বলেন।
দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী–কঙবাজার রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান, তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এডিসি (রেলওয়ে) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
কঙবাজার প্রতিনিধি জানান, রেলমন্ত্রী মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঝিলংজায় ঝিনুক আকৃতিতে গড়ে তোলা আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পরে রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক ছাড়াও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।