নগরীর ও আর নিজাম রোডে খুনের শিকার মাহমুদা খানম মিতুর দুই ছেলেেেয়কে নিজের জিম্মায় চেয়ে আদালতের কাছে আরজি জানিয়েছেন তাদের নানা মোশাররফ হোসেন। গতকাল তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তিনি এই আরজি জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পিপি আবদুর রশিদ আজাদীকে বলেন, বাবুল আক্তারের ছেলেমেয়ে বর্তমানে দাদার সাথে আছে। নানা তার কাছে নিয়ে যেতে গত ২ মে একটি আবেদন করেছিলেন। সে বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে নাতি–নাতনিকে জিম্মায় পেতে তিনি মৌখিকভাবেও আরজি জানান। তবে একই বিষয়ে অন্যান্য আদালতে একাধিক আবেদন অনিষ্পন্ন থাকায় আদেশ হয়নি।
এদিকে গতকাল চতুর্থ কার্যদিবসেও মিতু হত্যা মামলায় তার বাবা ও বাদী মোশাররফ হোসেনের জেরা শেষ হয়নি। আগামী ১৮ মে’তেও জেরা অনুষ্ঠিত হবে। গতকালের জেরায় বাবুল আক্তার মিতুকে কখন, কোন তারিখ নির্যাতন করেছে এমন প্রশ্ন করলে মিতুর বাবা মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন বাবুলের আইনজীবীদের তা জানাতে পারেননি। উত্তরে তিনি বলেন, মনে নেই। এর আগে তিনি আদালতের কাছে দেওয়া সাক্ষ্যে বাবুল মিতুকে নির্যাতন করেছেন বলে তথ্য দিয়েছিলেন। গতকালের জেরায় ভারতীয় নাগরিক গায়ত্রীকে নিয়েও মোশাররফ হোসেনকে জেরা করা হয়। বাবুলের আইনজীবীরা তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি বলেছেন গায়ত্রীর সাথে বাবুলের পরকীয়ার বিষয়টি মিতু জেনে যাওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দেন গায়ত্রী। কোন তারিখে এ হুমকি দেওয়া হয়? উত্তরে তিনি বলেন, মনে নেই। মিতুর বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বই ও চিরকূটের লেখা গায়ত্রীর বলেছেন। এসব লেখা ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছিল? এবারও তিনি বলেন, মনে নেই।
মহানগর পিপি আবদুর রশিদ আজাদীকে বলেন, বাদীকে আসামি পক্ষের জেরা এখনো শেষ হয়নি। ১৮ তারিখেও জেরা অনুষ্ঠিত হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, মিতুর বাবা সাক্ষীতে নানা কথা বলেছেন। সেসব নিয়ে জেরা করার সময় তিনি ‘মনে নেই’, ‘জানি না’ এসব বলছেন শুধু।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২, ৮ ও ১০ মে মোশাররফ হোসেনকে তার দেওয়া সাক্ষ্য বিষয়ে জেরা করা হয়। আলোচিত এ মামলায় ১৩ মার্চ চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক।











