ঢাকাই সিনেমার ‘মিয়া ভাই’

| মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০২৩ at ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা’ গানের এই কলিটি মনের ভেতরে গুনগুনিয়ে উঠলেই যে মাঝির ছবি স্মৃতিতে ভাসে, সেই ‘সুজন’ আরও অনেক আগেই বাংলা সিনেমায় জ্বালিয়েছিলেন ‘আলোর মিছিল’। শুরুটা একাত্তরে, ‘জলছবি’ দিয়ে। এরপরের পাঁচ দশক ধরে ‘সারেং বউ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাহেব’, ‘মিয়াভাই’, ‘নাগরদোলা’, ‘সুজনসখী’, ‘ঘরজামাই’, ‘ভাইভাই’, ‘সাহেব’, ‘কথা থাকে’, মাটির পুতুল’সহ ডজন ডজন জনপ্রিয় ও সফল সিনেমার নায়ক আকবর হোসেন পাঠান, যাকে এ দেশের মানুষ চেনে ফারুক নামে। খবর বিডিনিউজের।

অভিনেতার প্রয়াণের দিনে তার অভিনীত ৬০টির বেশি সিনেমার মধ্য থেকে জনপ্রিয় কিছু সিনেমার সুলুকসন্ধান করেছে গ্লিটজ। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই ফারুক চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘জলছবি’। প্রথম সিনেমাতেও তার নায়িকা ‘সারেং বউ’ কবরী। পরিচালনা করেছিলেন এইচ আকবর। এই নির্মাতার একটি সিনেমাই ফারুক করেছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে ফারুক আবার চলচ্চিত্র আসেন। ফারুকের অভিনয় জীবনে ১৯৭৩ থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় ধরা হয়। কারণ ওই তিন বছরে ফারুক মুক্তিযুদ্ধের দুই সিনেমা ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘আলোর মিছিল’ এবং প্রেমের সিসেমা ‘সুজন সখী, ‘নয়নমণি’ করে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে ‘নায়ক রাজ রাজ্জাকের’ রাজত্বেও নিজেকে তরুণ নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ‘সারেং বউ’ ও ‘লাঠিয়াল’ করেও প্রশংসা কুড়ান। পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাকিবকে ফ্ল্যাট ও গাড়ির হিসাব দিলেন বুবলী
পরবর্তী নিবন্ধযে নায়িকার সঙ্গে অভিনয়ে হাতেখড়ি ফারুকের