ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাস থেকে মাঠে থাকা লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা জনিত কারণে মহেশখালীতে আরো ২ জন লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট তিনজনের মৃত্যু হল। একই কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্তত আরো ১৬ জন লবণ চাষি।
জানা যায়, গত রোববার উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজির পাড়া ও পানিরছড়া এলাকায় লবণ মাঠে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করায় ঠান্ডা জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মারা যান ওই এলাকার লবণ চাষি মৃত আবুল ফজলের পুত্র রিদোয়ান প্রকাশ ধলাইয়া (৩৫)। এ সময় একই ইউনিয়নের পানির ছড়া এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করায় অসুস্থ হয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ ছিল পানিরছড়া গ্রামের আলতাজ কবিরের পুত্র মুহাম্মদ নেছার (৩২) ও পানিরছড়া বারঘর পাড়ার মৃত আব্দুল মতলবের পুত্র মো. আনছার (৪১)। তাদের লাশ রাতেই উদ্ধার করে গতকাল সোমবার সকালে দাফন করা হয়েছে।
মৃত মোহাম্মদ নেছারের পিতা আলতাজ কবির জানান, তার ছেলে রোববার দুর্যোগের সময় মাঠে লবণ সংরক্ষণ ও পলিথিন তোলার কাজ করাকালীন বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পানিতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যার পরে লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে মো. আনছারের লাশও রাতেই উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মহেশখালী হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃষ্টিতে ভিজে পানিতে কাজ করায় ঠান্ডা জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মহেশখালী হাসপাতালে আরো ১৬ জন লবণ চাষি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, মূলত বৃষ্টি ও বাতাসে ঠান্ডা জনিত কারণে মহেশখালীতে মোট ৩ জন লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে।
        











