তথ্য গোপনের পাশাপাশি কোটি টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

সাবেক ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১০ মে, ২০২৩ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

সম্পদ বিবরণীতে ৯৮ লাখ ৯২ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ক্ষমতা অপব্যবহার করে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮০ টাকার জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তারা হলেন, আবুল কাশেম চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম।

গতকাল মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম১ এ মামলাটি দায়ের করেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম১ এর উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাশেম চৌধুরী দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫০ লাখ ৪০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অন্যদিকে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও এক কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে এসব প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়েছে। এখন তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এখন অবসরে থাকা আবুল কাশেম চৌধুরী নগরীর পাহাড়তলীর অলংকার মোড় ট্রাফিক পুলিশ বঙে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী চুনা ফ্যাক্টরী রোড এলাকায় স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামপুর উপজেলার বাঘমারা এলাকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুদকে সম্পদবিবরণী দাখিল করেন আবুল কাশেম চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এতে আবুল কাশেম চৌধুরী স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৮০২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু যাচাইকালে দেখা যায়, তিনি অতিরিক্ত ৫০ লাখ ৪০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। অন্যদিকে তার স্ত্রীর দাখিলীয় সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৭ টাকা টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। যাচাই করলে দেখা যায়, তিনি ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, আবুল কাশেম চৌধুরী তার ছেলের নামীয় চৌধুরী এগ্রো ফার্মকে ৫০ লাখ টাকা দিলেও তা আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি। এসব টাকার বৈধ কাগজপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি। সব মিলে ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। অন্যদিকে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম সবমিলে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক, ব্যক্তিগত ছবি ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং
পরবর্তী নিবন্ধখাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মহসিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা