ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠান বাজারে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিষ্ঠান দুটির দাবি, ভ্যাট পুনর্বহালের কারণে তাদের সরবরাহকৃত ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) বাড়তি মূল্য পরিশোধ করে পণ্য নিতে হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার বিকেলে খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের নেতারা। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক সঞ্চালনা করেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বশর চৌধুরী।
বৈঠকে উপস্থিত খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী ও আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির পর ইতোমধ্যে সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে মিল মালিকরা। এখন সিটি গ্রুপ ও টি কে গ্রুপ তাদের সরবরাহ করা ডিও’র মূল্য পরিশোধে বাড়তি ১০ শতাংশ ভ্যাটের মূল্যও নিতে চায়। বিষয়টি ব্যবসায়ীরা মেনে না নেয়ায় তারা বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যখন ভ্যাট অব্যাহতি দেয়, তখন সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দরপতন হয়, সে সময় কিন্তু আলোচিত দুই মিল মালিক দাম কম নেয়ার চিন্তা করেননি। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এবং এফবিসিসিআই বরাবর চিঠি দিয়েছি। তবে এস আলম গ্রুপ ও মেঘনা গ্রুপের ভোজ্যতেল সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।