চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নের আতিকুর রহমান ফাহাদ নামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সিরিঞ্জ, সেলাইনের পাইপ, বেয়ারিং এবং কাঠ আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করেছে মাটি কাটার স্কেভেটর। ডিজেল আর পেট্রোল নয় তার এ স্কেভেটর চলছে পানির সাহায্যে। দ্বীপের অজ পাড়াগাঁয়ের বিরল এই সৃষ্টি দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। গতকাল শনিবার বিকেলে সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটের নব নির্মিত ফেরির সংযোগ রাস্তা পরিদর্শনে গেলে বেড়িবাঁধ এলাকার মুদী ব্যবসায়ী শেখ রাসেল তার প্রতিবেশী ফাহাদের এ প্রচেষ্টার কথা জানাতে থাকেন। সাংবাদিকদের সাথে করে নিয়ে যান ফেরি ঘাটের ৫শ মিটার উত্তরে বাশবাড়িয়া ঘাটের স্পিডবোট চালক আফসার ড্রাইভারের বাড়িতে। কিশোর আতিকুর রহমান ফাহাদ (১৩) স্পিড বোট চালক আফসারেরই সন্তান।
কালাপানিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান ফাহাদ দৈনিক আজাদীকে জানায়, তার বাড়ির পাশে সন্দ্বীপের যে স্বপ্নের ফেরি চলাচলের রাস্তার কাজ চলছে সেখানে দিনরাত মাটি কাটার কাজ করছে ১০টি স্কেভেটর। সেখানে এ স্কেভেটরগুলো দেখে সে অনুপ্রাণিত হয়ে এধরনের একটি স্কেভেটর তৈরির কাজে নেমে পড়ে। প্রথমবার ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বার সে স্কেভেটর তৈরি করতে সক্ষম হয়। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক ও জনতাকে তার এ আবিষ্কারকে চালিয়ে দেখায় আতিকুর ফাহাদ। ফাহাদের মাতা রেখা বেগম বলেন, তার ছেলে ছোট বেলা থেকেই এ ধরনের কাজ করতে আগ্রহবোধ করত। তবে তিনি তখন উৎসাহ দিতেন না এসব কাজে। কিন্তু ফাহাদের বাবা ছেলের প্রচেষ্টাকে সবসময় উৎসাহ দিতেন ও সহযোগিতা করতেন। সোস্যাল এক্টিভিস্ট খোদাবক্স সাইফুল বলেন, এ ধরনের ক্ষুদে প্রতিভাগুলোর মেধা বিকাশে যত্ন নেয়ার জন্য সচেতন নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসলে দেশের উন্নয়নে এরা অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারবে।