পাঁচ মামলায় মামুনুলের জামিন

| বৃহস্পতিবার , ৪ মে, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

গ্রেপ্তারের দুই বছর পর ৫ মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেলেন আলোচিত ধর্মীয় বক্তা ও হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা মামলাগুলোতে গতকাল বুধবার মামুনুলকে জামিন দেয় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

মামুনুল ‘খেলাফতে মজলিস’ নামে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রীক একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। গ্রেপ্তারের সময় তিনি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। তবে পরে তাকে সংগঠনটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে জামিন শুনানি করেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। মামুনুলের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর মধ্যে ঢাকার পল্টনের চারটি ও হাটহাজারীর এক মামলায় মামুনুলের বিষয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই পাঁচ মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এ আইনজীবী বলেন, তার (মামুনুল) বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। এ কারণে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রীক দলগুলোর সহিংসতার ঘটনায় আলোচিত ছিলেন মামুনুল। সে সময় ঢাকায় বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব থাকলেও সংগঠনে মামুনুলের প্রভাব ছিল ব্যাপক। সংগঠনের নীতি নির্ধারণে তার ভূমিকাও ছিল স্পষ্ট। একের পর এক ঘটনা শেষে ওই বছর ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে তিনি এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। সঙ্গে থাকা নারী সঙ্গীকে নিজের স্ত্রী দাবি করার পর অনুসারীরা হামলা করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেয়। পরে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর এবং ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় হেফাজত কর্মীরা।

এরপর অভিযান শুরু করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়। ১৮ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে থেকে গ্রেপ্তার হন মামুনুল। এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় একাধিক মামলা করে পুলিশ। রিসোর্ট সঙ্গীনীও তার বিরুদ্ধে করেন ধর্ষণ মামলা। সেই সঙ্গে শাপলা চত্বরে সহিংসতার মামলাগুলোও সামনে আসে। ওই বছরের জুনে হেফাজত থেকে রাজনৈতিক নেতাদের বাদ দেওয়া হয়। মামুনুলের পাশাপাশি পদ হারান তার ভাই মাহফুজুল হক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা
পরবর্তী নিবন্ধঅগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ