নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই যুবকেরা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত সোমবার নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ–কমিশনার (উত্তর) তাইয়ান আদনান নিহাদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রোববার বিকেল থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ছয় জন হলো– ইমদাদুল ইসলাম রনি (৩২), কফিল উদ্দিন তানভীর (২৩), মাজেদ উদ্দিন নাদিম (২০), আমিন আলী সাকিব (২৫), আরিফুল হাসান (২৩) ও মো. সাকিব (২৩)।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাইয়ান আদনান নিহাদ আজাদীকে জানান, মাজেদ উদ্দিন নাদিমের ফেসবুকে ‘এন কে মোটরস’ ও ‘অভ্রনীল নাদিম’ নামে আলাদা দু’টি পেইজ আছে। এসব পেইজে পাঠাওয়ের মাধ্যমে চালানোর কথা বলে মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ কেউ তার নিজস্ব মোটরসাইকেল নাদিমকে ভাড়া দিতেন। কয়েকটি মোটরসাইকেল নেয়ার পর নাদিম সেখান থেকে দু’য়েকটি জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে দিত। নগরীর বিভিন্ন থানায় এই প্রক্রিয়ায় মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা আছে। আবার চুরি করা মোটরসাইকেলও তারা সংগ্রহ করত। সেই মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো ফেসবুকের পেইজগুলোতে। পরে সেগুলো চোরাই বাজারে বিক্রি করতো। নাদিমের নামে ফেসবুকের পেইজ খোলা হলেও ছয় জনের পুরো চক্রটিই এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, এরা আবার এক গাড়িকে চোরাই কাগজে একাধিক জনের কাছে বিক্রি করত। অভিযানে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। চক্রের মূলহোতা নাদিমের প্রকৃত নাম নাজেম উদ্দিন।
গ্রেপ্তারের পর ৬ জনকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। তাদের কেউ বলছিল, সে শুধু মধ্যস্থতা করে বিক্রি করে দিত। আবার কেউ বলছে সে নগদ টাকায় মোটরসাইকেল কিনেছে। আর কিছুই জানে না। বরং সে প্রতারণার স্বীকার! গ্রেপ্তারকৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা করেছে ভুক্তভোগীরা।