বৈশাখের দ্বিতীয়ার্ধে কালবৈশাখীর দাপটে গরম কমে এলেও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে মৃদু তাপপ্রবাহ এখনও বয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এই বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ কেটে যাবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, সীতাকুন্ডু ও বান্দরবানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দুয়েকদিনের মধ্যে তা প্রশমিত হবে।
সোমবার দিনভর ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
এজন্যে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হামিদ বলেন, “আরও দু’য়েক দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এখন তো ঝড়ের মৌসুমের চলছে। মঙ্গলবার অধিপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকের পর চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাসও জানানো হবে।”
এ আবহাওয়াবিদ জানান, সাগরে এখনও কোনো লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো কিছু হলেই নির্ধারিত সময়ে পূর্বাভাস ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর তা জানাবে।
তবে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে (এপ্রিল-জুন) অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন এবং অন্যত্র ৫-৭ দিন কালবৈশাখী, শিলা বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বয়ে যতে পারে ১-৩ টি তাপপ্রবাহ। আর বঙ্গোপসাগরে ১-৩ টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
সবশেষ এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ছিল ম্যানদাউস। এটা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রস্তাব করা নাম; আরবি ভাষার এ নামের অর্থ গুপ্তধনের সিন্দুক।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে; বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েনি।
এ অঞ্চলে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম ঠিক রয়েছে মোচা, এটা ইয়েমেনের দেওয়া নাম।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।