আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচন করতে দেবেন না–এ দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী এই দেশে যথাসময় নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনে যারা ব্যর্থ, তারা সন্ত্রাস করবে।
নির্বাচন করতে দেবে না–সেই দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। রংপুর বিভাগ ও এর অন্তর্গত আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় সভা, সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের আনুুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং পরবর্তীতে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অন্তর্গত সাংগঠনিক ইউনিটসমূহের নেতৃবৃন্দের সাথে এই বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি যদি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করে, তাতে কোনো ফল মিলবে না। এদেশে যারা আন্দোলনে জেতে, তারাই নির্বাচনে জেতে। গণঅভ্যুত্থান, নানা অন্দোলনের চেষ্টা করে শুরুতেই হোঁচট খেয়ে যায়, বাস্তবে মানুষ কোনো আন্দোলন দেখতে পারেনি। (বিএনপির) নেতাকর্মীরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি, একটাও হালে পানি পায়নি। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি সন্ত্রাস করবে–এমন শঙ্কা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচন বানচালের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না।’ তো তা কোন গণতন্ত্র? জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ–না ভোট? আমরা মাগুরা মার্কা উপনির্বাচন বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। তারা দেশকে কী মেরামত করবে? সবকিছুতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন শেখ হাসিনা করছেন। আপনাদের (বিএনপি) একটা উন্নয়নের কাজ নেই, যেটা দেখিয়ে ভেটারদের বলবেন, ভোট দেন।
তিনি আরো বলেন, এ দেশে যারা আন্দোলনে জিতে তারাই নির্বাচনে জিতে। গণঅভ্যুত্থান ও নানা আন্দোলনের চেষ্টা করে শুরুতেই তারা হোঁচট খেয়ে যায়, বাস্তবে মানুষ কোনো আন্দোলন দেখতে পারেনি। নেতাকর্মীরা (বিএনপির) জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি, একটাও হালে পানি পায়নি। বিএনপি ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথহারা পথিকের মতো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ওয়াশিংটন গেছেন নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য। মানুষের কষ্ট লাঘবে, বিশ্ব সংকটে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য নেয়া হচ্ছে। বিএনপির মতো দেশ বিক্রি করে সাহায্য নিচ্ছি না। অর্থনৈতিক সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে নিচ্ছি, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন গণতান্ত্রিক উপায়ে হবে, অন্য দেশের পরামর্শে হবে না। অন্য দেশের নির্বাচনে আমাদের হস্তক্ষেপ নেই। তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কেন অন্য দেশের মাথাব্যথা থাকবে? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিমাগারে। বিএনপির মাথায় এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত। কোনো লাভ হবে না, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর এদেশে ফিরবে না।












