আবারও বাড়ছে ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দাম। ঈদের আগে থেকে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে থাকে। বিক্রেতারা সরবরাহ সংকটকে দায়ী করলেও ভোক্তাদের দাবি সিন্ডিকেট করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ব্যাটারি গলি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, টমেটো ১০০–১২০ টাকা, শিম ১০০–১২০ টাকা, কাকরোল ৯০ টাকা। পিস হিসেবে চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০–৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০–৮০ টাকা, পটল ৭০–৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০–৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০–৮০ টাকা, পেঁপে ৩০–৪০ এবং বরবটি ৭০–৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি সরবরাহ কমে গেছে। তাই ঈদের আগে থেকে সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
বাজারে আসা ক্রেতা এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, সবজির বাজার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি নেই। আমাদের দেশে কেবল রমজান মাস আসলে সবজির বাজারে প্রশাসন অভিযান চালায়, পরে তাদের আর কোনো খোঁজ খবর থাকে না। ফলে বিক্রেতারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো দাম বৃদ্ধি করেন। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০–২৬০ টাবায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি কেজি ৩৬০ টাকা এবং দেশী মুরগি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ডজনপ্রতি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস হাড়সহ ৭৫০ টাকা এবং হাড় ছাড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। এছাড়া খাসির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১শ টাকায়।