তামিমদের সঙ্গে অনুশীলনকে বড় অর্জন বললেন মৃত্যুঞ্জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

২০২০ অনূর্ধ্ব১৯ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে ফিরতে হয়েছিল ইনজুরির কারনে। এরপর থেকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন নিয়মিতই। বিপিএলের মত মঞ্চেও ভালো পারফর্ম করেছেন। এবার মৃত্যুঞ্জয়ের সুযোগ মিলেছে জাতীয় দলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে আছেন তিনি। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আইরিশদের বিপক্ষে লড়তে হবে। সেই সিরিজের প্রস্তুতি গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে সিলেটে। প্রথম দিনের অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মৃত্যুঞ্জয়। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে হয়তো অনুশীলন করা হয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর থেকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে এভাবে কখনো অনুশীলন করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এটা অনেক বড় অর্জন। আজকে অনেক ভালো লাগাও ছিল যে নতুন কিছু শিখতে পারছি। সে হিসেবে বলবো আজকের দিনটা খুব ভালো গিয়েছে।

সিলেটের কন্ডিশনে অনুশীলন নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ইংল্যান্ডের উইকেট বাউন্সি আছে। সেক্ষেত্রে সিলেটের উইকেটের একটা সুনাম আছে আগে থেকেই। আজকেও আমরা অনুশীলন করলাম। আর উইকেটে অনেকটা বাউন্স ছিল। যেটা আমাদের ইংল্যান্ডে খেলার দিক থেকে একটু হলেও সহায়তা করবে। কিন্তু একেবারে পুরোপুরি ওই ধরনের উইকেটতো এখানে সম্ভব না। তারপরও যতটুকু হয়েছে ভালো। দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সংকটটা অনেকদিনের। মাঝে কয়েকজনকে চেষ্টা করা হলেও কেউই স্থায়ী হতে পারেননি। এবার সুযোগ পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। তিনি জানান টিকে থাকতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

মৃত্যুঞ্জয় বলেন আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমি যদি সেরাটা দিতে পারি তাহলে হয়তো ভালো কিছু হবে। কিন্তু পারফরম্যান্সের দিক থেকে সবকিছু একজন ক্রিকেটারের হাতে থাকে না। কঠোর পরিশ্রম ও আগ্রহ আমার হাতে আছে। বাদ বাকিটা আমি চালিয়ে যাই। নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেন অবশ্যই একটা পরিকল্পনা আছে। কারণ আমি ছোট বেলা থেকে যখনই খেলা শুরু করেছি আমার ভালো অলরাউন্ডার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। হয়তো বোলিংটা ওভাবে ক্লিক করেছে এজন্য সবাই বোলার হিসেবে চেনে। ব্যাটিংটাও ভালো আছে। হয়তো ওভাবে ক্লিক করেনি। আশাবাদী আছি যেদিনই ক্লিক করবে ভালো কিছু একটা হবে। দলের অনুশীলন নিয়ে তিনি বলেন প্রথম দিনের অনুশীলন যেটা হয়েছে সেটা হলো ম্যাচ কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে প্রথম দশ ওভারে কীভাবে খেলতে হবে এবং শেষের দিকে কীভাবে খেলতে হবে। এ অনুযায়ী যখন যে ব্যাটারকে যেভাবে নামানো হয়েছে, যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, তখন তারা সেভাবে ব্যাট করছে। যাদের শেষে নামানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে তখন তারা মেরে খেলেছে। শুধু ম্যাচ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অনুশীলন হয়েছে প্রথম দিন ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলিটনকে নিয়ে আশাবাদী সুজন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারালো বাংলাদেশ