দেশের প্রেক্ষাগৃহে আপাতত ভারতীয় সিনেমা মুক্তি না দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন দুই চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী ও জয় চৌধুরী। এই দুই নায়কের সিনেমা ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। দুজনই মনে করছেন, ঈদের পর পর ভারতীয় সিনেমা মুক্তি পেলে তাদের সিনেমা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আটটি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে বাপ্পী ও জাহরা মিতু অভিনীত ‘শত্রু’ ছবি ২৪টি, পূজা চেরি ও সজল অভিনীত ‘জ্বীন’ ১৪টি, অনন্ত জলিল ও বর্ষা অভিনীত ‘কিল হিম’ ১১টি, আদর আজাদ ও বুবলী অভিনীত ‘লোকাল’ নয়টি, অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরীর ‘প্রেমপ্রীতির বন্ধন’ নয়টি, রোশান ও ববি অভিনীত ‘পাপ’ আটটি, ইয়াশ রোহান ও ঐশী অভিনীত ‘আদম’ পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমাটি আগামী ৫ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই মুহূর্তে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হলে দেশীয় ঈদের সিনেমাগুলো ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন ‘শত্রু’ সিনেমার নায়ক বাপ্পি চৌধুরী। গত বুধবার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, এই ঈদে আটটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে, আটটি চলচ্চিত্র খুব ভালো চলছে। এমন অবস্থায় যদি ১৬০টি হলে সিনেমাগুলো ঘুরে ঘুরে চলে, তাহলে আমাদের দর্শক সিনেমাগুলো দেখতে পাবে এবং আমাদের প্রযোজকরা লাভবান হবেন। এমন পরিস্থিতিতে যদি এখন দেশের বাইরের কোনো সিনেমা আমাদের দেশে রিলিজ হয়, তাহলে আমাদের অতি কষ্টার্জিত সিনেমাগুলো দর্শক দেখতে পাবে না এবং প্রযোজকরাও এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। মন্ত্রীর কাছে এই অভিনেতার আবেদন– আমাদের চলচ্চিত্রগুলো জনগণের স্বার্থে ও প্রযোজকের স্বার্থে এবং নতুন প্রযোজকের আগ্রহের স্বার্থে, দেশের বাইরের সিনেমাগুলো এদেশের হলে এখন চলতে পারমিশন না দিলে আমাদের সিনেমা উপকৃত হবে এবং আমাদের এই চলচ্চিত্র শিল্প দেশের ঐতিহ্য এবং সামাজিকতা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।
বাপ্পী চৌধুরীর কথাগুলো নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জয় চৌধুরী লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি, এটি একটি জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু এ চার দেয়ালের বন্দি মানুষগুলোর নয়, আপনাদের সবার।