বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী নিয়ে এ বছর প্রথম ফ্লাইটটি উড়বে আগামী ২১ মে।
আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ সহায়িকা প্রকাশনা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল।
তিনি বলেন, “চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী ২১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট শুরু হবে।”
সৌদি আরবের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কিন্তু ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গজ গমনেচ্ছুদের অনেকে সাড়া না দেওয়ায় নয় বার সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ হয়নি। ঘাটতি রয়েছে ৬ হাজার ৭০৭ জন।
তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বাদ দিলে কোটার সাড়ে ৩ হাজার জনের মতো খালি থাকবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হজের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না। কোটা যতটুকু খালি রয়েছে ততটুকু ফেরত যাবে, এটা আর পূরণ হবে না।”
হজের খরচ কমানোর কোনো পরিকল্পনা এবার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী বছর একটু দূরে বাসা ভাড়া নিয়ে খরচ কমানো যায় কি না সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে।”
কোটা পূরণ না হওয়া নিয়ে ফরিদুল হক বলেন, “দুই-তিন হাজার, এটা কোনো বিষয় নয়। অন্য দেশ কতজন পাঠিয়েছে, আর কতজন খালি থেকেছে, তখন বুঝতে পারবেন। আমাদের যত হজযাত্রী যাচ্ছেন, সেই হার হিসাব করলে সারাবিশ্বে আমরা সর্বোচ্চ থাকব।”
সরকার উন্নত হজ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে দাবি করে তিনি বলেন, “হজের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, হজযাত্রীদের টিকা, চিকিৎসাসেবা, আবাসন ব্যবস্থার তথ্য, লাগেজ ব্যবস্থাপনা, হারানো হজযাত্রী খুঁজে পাওয়াসহ যাবতীয় সেবা কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।”
হজ এজেন্সিগুলোও প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানে দক্ষতা অর্জন করেছে বলেও মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য জানিয়ে ফরিদুল হক বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হজযাত্রী এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত অংশীজনদের জন্য হজ পালনসহ ধর্মীয় অন্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘হজ ও ওমরাহ সহায়িকা’ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদ্যোগ।”
মোবাইল অ্যাপটি পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন এবং প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড আবেদনও সিস্টেমের মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।”












