বোয়ালখালীতে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পক্ষের কমপক্ষে ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোতাহের হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের (একাংশের) সভাপতি জয় দে বাদী হয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিনকে প্রধান করে নির্দিষ্ট ৮ জনসহ অজ্ঞাত আরো ১৫–২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, আসন্ন চট্টগ্রাম–৮ আসনের উপ–নিবার্চনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের সমর্থনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা চলাকালীন সভাস্থলে প্রবেশ করা নিয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি খালেদ মাসুদের সঙ্গে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা দুই গ্রুপের কর্মী–সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা হাতাহাতি ও মারামারিতে রূপ নেয়। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তা প্রশমিত হলেও এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জয় (২৭), সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (২৬), সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ দাশ (২২), দপ্তর সম্পাদক মো. ইরফান (১৯) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাকন সেন (২২)। এরা সবাই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ–সভাপতি এস এম আবুল কালামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আহতরা বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা নিলেও গুরুতর আহত জয় দে কে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পৌর ছাত্রলীগের (একাংশের) সভাপতি আহত জয় দে অভিযোগ করে বলেন, সভা চলাকালীন অতর্কিত দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও জাবেদ হোসেনের নেতৃত্বে তাদের কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেরা লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের উপর দুই দফা হামলা চালায়। বিষয়টি আমরা থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।
বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।












