বিছানায় অস্বাভাবিকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়োগো ম্যারাডোনাকে। এর পরই তার মৃত্যুর ধরন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। পরবর্তীতে আর্জেন্টাইন মহাতারকার মৃত্যুর ঘটনায় ২০২২ সালে তার চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুক, আগুস্টিনা কোসাচভসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের অভিযোগ আনা হয়। এবার তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। আর্জেন্টিনার একটি আদালতে অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য ওই আটজনের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তার বিপরীতে ওই আদালত জানান, ‘নিউরোসার্জন ও পারিবারিক চিকিৎসক লিওপোল্ডো, মনোবিদ আগুস্টিনাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব নিয়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা’র অভিযোগে বিচার শুরু করা হবে। গত বছর মামলা দায়েরের পর প্রসিকিউটর ও বিচারকরা ওই আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে শুনানির বিষয়ে এখনও কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিচারের কাজ শেষ হতে এক বছর লেগে যেতে পারে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে তিনি মস্তিস্কের অস্ত্রোপচারের পরে বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই সময় তার মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। এরপর তার চিকিৎসকসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডের অভিযোগ তোলা হয়। পরে ওই আট চিকিৎসক আদালতে হাজির হয়ে নিজেদেরকে নিরাপরাধ দাবি করেন। তখন প্রসিকিউটররা ম্যারাডোনাকে ‘অবহেলা’ ও চিকিৎসায় ‘ঘাটতি’র অভিযোগ তোলেন।
সেইসঙ্গে ২০২১ সালে ২০ জন বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। যেখানে আট চিকিৎসকের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়। বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, যদি ভালো চিকিৎসা দেওয়া হতো তাহলে ম্যারাডোনা হয়তো বেঁচে থাকতেন।












