ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই ছোট বড় সবাই আনন্দে মেতে উঠি। আগে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে বড়রাও ঈদ কার্ড বিনিময় করতো। বিশেষ করে যারা সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা ছিল তাদের মধ্যে এই প্রবণতাটা বেশি ছিল। আমিও ছিলাম সেই দলে।
বন্ধুদের মাঝে ঈদ কার্ড বিনিময় করতাম। সময়টা ছিল আশির দশকের শেষের দিকে আটাশি সালে। আমি তখন ক্লাস নাইনের ছাত্র। এলাকার বন্ধু, স্কুলের বন্ধু, কাজিন বন্ধু থেকে শুরু করে পত্র মিতালীর বন্ধুদের ও ঈদ কার্ড পাঠাতাম। আমার কাছেও আসতো প্রচুর ঈদ কার্ড।
একবার এলাকার এক বন্ধুকে ঈদ কার্ড পাঠিয়েছিলাম পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। অথচ বন্ধুর বাসা ছিল আমার বাসা থেকে মিনিট পাঁচেক এর দূরত্বে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে দেওয়াটা ছিল একটা সারপ্রাইজ। বন্ধু সেই সারপ্রাইজ পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল। সে ধারনাই করতে পারেনি একেবারে বাসার পাশ থেকে বন্ধু বাই পোস্টে ঈদ কার্ড পাঠাবে। আমি যে এরকম একটা সারপ্রাইজ দিবো তারাও সেটা বুঝে উঠতে পারেনি।
পরে বন্ধুর বড় বোন নওশত আপা বন্ধুকে বলেছিল তুইও একটা ঈদ কার্ড পাঠিয়ে দেয় মোখলেস এর কাছে। কিন্তু তখন আর পোস্টের মাধ্যমে পাঠানোর সময় ছিলো না। দুইদিন পরেই ঈদ। তাই চাঁদ রাতের দিন বন্ধু লোক মারফত আমার কাছে পাঠালো হালকা জমকালো এক ঈদ কার্ড।
সেখানে কী লেখা ছিল এখন আর মনে নেই। আমি কী লিখেছিলাম তাও মনে হয়। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে আমাদের দুইজনের ঈদ কার্ড বিনিময়ের কথা। এই ঈদে এসে খুব মনে পরছে তরুণ কালের ঈদ কার্ড বিনিময়ের কথা। ইচ্ছা করছে আবারও ঈদ কার্ড বিনিময় করি। কিন্তু সব ইচ্ছা তো পূর্ণ হয় না। তাই এটাও না হয় অপূর্ণই থেকে যাক।