নাইক্ষ্যংছড়ি–মিয়ানমার সীমান্তের সেই শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরের পেছনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ফলে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তুমব্রুসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দা। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় শূন্যরেখা তথা ৩৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের পাশে মিয়ানমারের সামান্য ভেতর থেকে থেমে থেমে ১১/১২ রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল জানান, তখন সবেমাত্র ইফতার শেষ করে অতি গরমের কারণে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করে মিয়ানমারের ভেতর থেকে কিছুক্ষণ পরপর গুলির শব্দ আসার কারণে তার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এলাকার আরো কয়েকজন জানান, মিয়ানমারের সামান্য ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান নিয়ে আছে সে দেশের আরকান আর্মির সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে সীমান্তে ঘোরাঘুরির সময় আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনী উভয় পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ফলে সর্বত্র আতঙ্ক দেখা দেয়। আর বিজিবি সদস্যরা এতে টহল বৃদ্ধি করেন। তাদের সতর্ক দেখা দেয়।
অপর একাধিক সূত্রের দাবি মিয়ানমার থেকে গরু, স্বর্ণ, ইয়াবা, আইস বা অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশে পাচারকালে আরসা বিদ্রোহী বাহিনী প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে মিয়ানমার বাহিনীর সাথে এ গুলি বিনিময় করছে।
এদিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে অনেকে আতংকিত হলেও পরে সবাই স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।
সীমান্তরক্ষী ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুমব্রু পয়েন্টে কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সব বিবেচনায় বিজিবি সজাগ রয়েছে সব সময়। বিশেষ করে তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা চোরাইপণ্য পাচারে সতর্ক এবং কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি।