বিএসসির জন্য কেনা হচ্ছে ৪ জাহাজ

| বুধবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

জ্বালানি পরিবহনে বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভরতা কমাতে দুটি মাদার ট্যাংকার কিনতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়লা, সিমেন্ট ক্লিংকার, গমের মত পণ্য দেশে আনতে দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার কেনা হবে।

জিটুজি ভিত্তিতে চীনা অর্থায়নে এসব জাহাজ কিনতে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর চারটি জাহাজই কেনা হবে চীন থেকে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) জন্য জাহাজগুলো কিনতে ব্যয় হবে ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হবে। একনেক বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জাহাজ কেনার তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এবং শিল্প শক্তি বিভাগের সদস্য মো. আব্দুল বাকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) নিজস্ব সময়সূচি অনুযায়ী মাদার ট্যাংকারে জ্বালানি পরিবহন করা হবে। আমদানি করা ক্রুড অয়েল সরাসরি আনলোড করার জন্য বঙ্গোপসাগরে মহেশখালীর পশ্চিম প্রান্তে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরি’ নামের একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে যে দুটি মাদার ট্যাংকার কেনা হচ্ছে, সেসব জাহাজ বঙ্গোপসাগরে ভিড়িয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে হতে ক্রুড অয়েল ও রিফাইন্ড প্রোডাক্ট সরাসরি ইস্টার্ন রিফাইনারির ডিপোতে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। আর খাদ্য বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থার জন্য গম, চাল, সিমেন্ট ক্লিংকার, সারের মত পণ্য দেশের বাল্ক ক্যারিয়ারে পরিবহন করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক রুটে জাহাজ ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও হবে। প্রতিটি মাদার ট্যাংকারের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ১৪ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন। আর প্রতিটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার ৮০ হাজার ডিডব্লিউটি পণ্য পরিবহন করতে পারবে। চার জাহাজের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬২০ কোটি ৭৭ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে চীন থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা; বাকি ১৩৪ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। জাহাজ চারটি পরিচালনার জন্য বছরে প্রায় ২৫০ জন মেরিন অফিসার এবং ক্রুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিমছড়ি উপকূলে ভাসছে বিশালাকৃতির মরা তিমি
পরবর্তী নিবন্ধচলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা