জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। দেশব্যাপী দাবদাহে অতিষ্ঠ জনগণ ভয়াবহ লোডশেডিং এবং পানির সংকটে পড়েছে জানিয়ে এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহসভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব দক্ষিণ জেলার সভাপতি আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাপদাহে স্বাভাবিক জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি চলছে। বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ আসা–যাওয়া করে। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বাড়ছে। বাড়ছে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের কষ্ট। পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা, দোকানপাট, শপিংমল ও বাসাবাড়ি। গ্রামাঞ্চলে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসার খবর থাকে না। এদিকে রমজানের পূর্বে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস কর্তৃপক্ষ ভোক্তাদের আশ্বাস দিয়েছিল, রমজানে কোনো সংকট হবে না। কিন্তু রমজান মাস শেষ হওয়ার আগে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামে চালু রয়েছে ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু এসব কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৬৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর মধ্যে খুঁড়িয়ে চলছে ৬টি। অপরদিকে উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক উৎপাদনে চলছে ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। নামমাত্র তালিকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র তালিকায় না রেখে এগুলোকে সচল করা দরকার। এছাড়া বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সংকট মেটাতে জরুরিভাবে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ বাড়ানো উচিত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নগর জুড়ে পানির হাহাকার। তাদের অভিযোগ, পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা একের পর এক প্রকল্প নিলেও সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ কামনা করেন তারা।