দীর্ঘ শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিক ভাবে কমে গেছে। এর ফলে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত (শ্যাওলা যুক্ত) পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ কিছুটা বেড়ে গেছে। মাত্রাতিরিক্ত শ্যাওলা যুক্ত পানি প্রবাহের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–১ ও ২ এর পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে এই দুটি পানি শোধনাগারে উৎপাদন অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। চট্টগ্রামে বৃহৎ দুটি পানি শোধনাগারে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় নগরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। তারপরও পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নগরীর বিভিন্ন স্থানে রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সংবাদপত্রে জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায়–কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শেখ হাসিনা–১ ও ২ পানি শোধনাগার হতে উত্তোলিত পানিতে শৈবালের পরিমাণ অত্যাধিক হওয়ায় তা পানি শোধনাগার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় উক্ত পানি শোধনাগার দুটিতে উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে শহর এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্ন ঘটছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা এই সমস্যা লাঘবে কাজ করছে। পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করার প্রয়োজন হচ্ছে। এই সময়ে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।