এ বছরের শুরুতেই ভূমধ্যসাগর পাড়িতে মৃত্যু চার শতাধিক : জাতিসংঘ

| বৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছরের শুরুতেই উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ৪০০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এবছর তিনমাসে মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ছয়বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম গতকাল বুধবার একথা জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগরীয় ওই রুটে এবছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর হিসাব দিয়েছে আইওএম। যদিও প্রকৃত মৃতের সংখ্যার এর চেয়ে আরও বেশি হতে পারে বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি। আইওএম বলছে, এইসব মৃত্যুর অর্ধেকই ঘটেছে রাষ্ট্রপরিচালিত উদ্ধার তৎপরতায় দেরির কারণে কিংবা কোনও ক্ষেত্রে কোনোধরনের উদ্ধার অভিযান না চলার কারণে।

আইওএম’র মহাপরিচালক জেনারেল অ্যান্টোনিও ভিটোরিনো বলেছেন, মধ্য ভূমধ্যসাগরে যে সঙ্কট চলছে তা অসহনীয়। ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। রাষ্ট্রগুলোর এ বিষয়ে কিছু করা উচিত।

লিবিয়া এবং মিশর উপকূল থেকে বিপজ্জনক এই পথে আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশীরাই সাধারণত বেশি পাড়ি দেয়। প্রায়ই ছোট, ভাসমান নৌকায় করে তারা যাত্রা করে ইউরোপে উন্নত জীবন পাওয়ার আশা নিয়ে। মরোক্কো থেকে স্পেনের পশ্চিমা ক্রসিংয়ের তুলনায় ভূমধ্যসাগরের এই সেন্ট্রাল রুটটি আলাদা। এ পথে যাত্রাকালে ঘন ঘনই নৌকাডুবি হয়। যেমনটি হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ায়। সেই নৌকাডুবিতে মারা গিয়েছিল অন্তত ৭২ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেনে সক্রিয় পশ্চিমা স্পেশাল ফোর্স
পরবর্তী নিবন্ধসাংবাদিকের মোটরসাইকেলে ছাড় নেই, ভোটকক্ষ থেকে লাইভে ‘না’