ভারতের কলকাতা থেকে সোডা অ্যাশ ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ শাড়ি ও লেহেঙ্গা নিয়ে এসেছে ফেনী জেলা সদরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজিজ এন্টারপ্রাইজ। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। গতকাল সোমবার আটক কন্টেনারের কায়িক পরীক্ষা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা।
এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৪ এপ্রিল কন্টেনারটি জাহাজে থাকাবস্থায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটি লক করে এআইআর শাখা। কন্টেনারটি জাহাজ থেকে নামানোর পর কাস্টম হাউসের অনুরোধে বন্দরের বিশেষ নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়। পরবর্তীতে কন্টেনারটি ফোর্স কিপ ডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ১২ হাজার ৫৫০ পিস বেনারসি শাড়ি, ১ হাজার ১৩৯ পিস জর্জেট শাড়ি, ৪০৩ পিস লেহেঙ্গা পাওয়া যায়। শাড়ি ও লেহেঙ্গার আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। আমদানিকৃত ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার উপর উচ্চ শুল্ক হার প্রযোজ্য থাকায় চালানটিতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ কমিশনার মো. সাইফুল হক জানান, ঈদুল ফিতরে ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার চাহিদা বেশি থাকায় শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে চালানটি আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ চালানে কম শুল্কে সোডা অ্যাশের চালানে উচ্চ শুল্কের শাড়ি ও লেহেঙ্গা আনায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণা ও রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টার অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান।