মিয়ানমার থেকে আসা চোরাই গরু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে রামুর কাউয়ারখোপ পূর্বপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে মালিকপক্ষ ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে আব্দুল জব্বার (৪০) নামে রড সিমেন্ট দোকানের একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত জব্বার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জাকের আহমদের পুত্র। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হন।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সদস্যরা রামুর কাউয়ারখোপ স্কুল সড়ক থেকে ছয়টি চোরাই গরু আটক করে নাইক্ষ্যংছড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় গরুর মালিকের লোকজনসহ উৎসুক জনতা গরুগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে বিজিবিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল জব্বার নামের ওই শ্রমিক মারা যান। জব্বার ওই এলাকার একটি রড সিমেন্টের দোকানের শ্রমিক। ঘটনার পর তার মরদেহ বিজিবি সদস্যরা নিয়ে যায় বলে জানায় তারা। চোরাই গরুগুলোর মালিক কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহর বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কথা বলার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিম এর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।