দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০ মিটারগেজ কোচ আমদানির দ্বিতীয় চালানে দেশে আরো ২৫টি নতুন কোচ এসেছে। এর আগে প্রথম চালানে এসেছিল ১৫টি কোচ। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত আধুনিক উচ্চগতির এই কোচ যুক্ত হতে যাচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিরতিহীন আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সেপ্রেসে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই নতুন কোচ সুবর্ণ এক্সপ্রেসে সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের।
এই ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস. এম. সলিমুল্লাহ বাহার আজাদীকে জানান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত আধুনিক উচ্চ গতির ১৫০টি মিটারগেজ কোচের মধ্যে দুই চালানে ৪০টি কোচ এসেছে। ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে চলাচলরত সুবর্ণ এক্সপ্রেসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত কোচ সংযোজন করা হবে। নতুন এই কোচ দিয়ে কক্সবাজার রুটেও নতুন ট্রেন চালানো হবে। চলতি অর্থ বছরে ধাপে ধাপে ১৫০টি কোচ আসবে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির উদ্দিন আজাদীকে বলেন, কোরিয়া থেকে মিটারগেজ কোচ আমদানির দ্বিতীয় চালানে ২৫টি কোচ এসেছে। এর আগে প্রথম চালানে এসেছিল ১৫টি। মোট দুই চালানে ৪০টি কোচ এসেছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট কোচ গুলোও আসবে।
উল্লেখ্য ঢাকা–চট্টগ্রাম–রুটে চলাচলরত সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ২০০৬ সালে সাদা চায়না কোচ যুক্ত হয়। ১৪ বছর পর ২০২০ সালে থেকে চায়না কোচ গুলো সরিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত লাল–সবুজের ১৮টি কোচ সংযুক্ত করা হয়। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত আরো আধুনিক উচ্চ গতির কোচ সংযোজন করা হবে বলে জানা যায়। গতকাল কোরিয়া থেকে আনা নতুন কোচের ট্রায়াল রান হয়েছে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে ঢাকার টঙ্গীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় কোরিয়া থেকে আনা নতুন এসব কোচ। সুবর্ণ ট্রেনে থাকা বর্তমান লাল–সবুজের কোচ দিয়ে একটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে গেছে। ট্রায়াল রেকের কোচ রয়েছে ৭ টি শোভন চেয়ার, ৪টি এসি চেয়ার/স্নিগ্ধা, একটি পাওয়ার কার, দুইটি গার্ডব্রেক, খাবার গাড়ি, শোভন চেয়ার। ট্রায়াল রানে পজিটিভ রিপোর্ট আসলে পরবর্তীতে সুবর্ণসহ যে কোনো ট্রেনে কোচ গুলো যুক্ত হবে। রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে জানা যায়, ২০২০–২০২১ সালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বহরে যুক্ত হয়েছে ১৫০ মিটারগেজ কোচ। ২০২১ সালের এর ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরো আধুনিক উচ্চ গতির আরো ১৫০টি মিটারগেজ কোচ আসতে শুরু করেছে।
কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের ৭৭ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নে এই কোচ গুলো দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের সাথে ৭৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে।