৩ এপ্রিল, জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। চলচ্চিত্র ও ইতিহাসের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত সুগভীর। ১৯৭১ সালে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির কেবল আত্মত্যাগের ইতিহাস নয়, তা অসাধারণ সাহস এবং বীরত্বেরও গৌরবগাথা। এ গৌরবের কথা জানতে পারলেই তরুণ প্রজন্মের মনে দেশের জন্য গভীর মমতা ও গর্ববোধ জাগ্রত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, ‘যাঁরা সাহিত্যসাধনা করছেন, শিল্পের চর্চা করছেন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সেবা করছেন, তাঁদেরকে দেশের জনগণের সঙ্গে গভীর যোগসূত্র স্থাপন করে অগ্রসর হতে হবে। দেশের জনগণের চিন্তা–ভাবনা, আনন্দ–বেদনা এবং সামগ্রিক তথ্যে তাঁদের জীবন–প্রবাহ আমাদের সাহিত্যে ও শিল্পে অবশ্যই ফুটিয়ে তুলতে হবে। আবার সাহিত্য–শিল্পে ফুটিয়ে তুলতে হবে এদেশের দুঃখী মানুষের আনন্দ–বেদনার কথা। সাহিত্য–শিল্পকে কাজে লাগাতে হবে তাঁদের কল্যাণে।…আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণই সব শিল্প ও সাহিত্যের উৎস। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো দিন কোনো মহৎ সাহিত্য বা উন্নত শিল্পকর্ম সৃষ্টি হতে পারে না।’
ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়নকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাজারে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হলে এখন থেকেই কৌশলগত সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে সুস্থধারার চলচ্চিত্রনির্মাণের পৃষ্ঠপোষকতার কোনো বিকল্প নেই। সুস্থধারার ছবি বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবির ব্যাপারে ইতিবাচক প্রচারণা এবং অশ্লীল ছবির বিপক্ষে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। তাছাড়া সুস্থধারার চলচ্চিত্র বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রনির্মাণে প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কালপরম্পরায় চলচ্চিত্রশিল্পে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে প্রার্থিতভাবে উঠে আসবে। সেজন্য আমাদের হয়তো আরো দুয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিবন্ধকতাগুলো এক সময় অপসারিত হবে, সচেতন নিপুণ কারিগর তৈরি হবে, যখন মুক্তিযুদ্ধকে নিজের অঙ্গীকারের অংশ বলে গ্রহণ করা হবে; তখন নিশ্চিতই ভালো মানের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের নিকট তিনটি প্রস্তাব রাখতে চাই। সেগুলো হলো: ১) মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে যথার্থ চলচ্চিত্রনির্মাণের জন্য বছরে অন্তত একটি উদ্যোগকে সরকার অর্থায়ন করতে পারে। এজন্য উপযুক্ত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে কমিটি গঠন করে কমিটির ওপর এ সম্পর্কিত দায় অর্পণ করা যায়, ২) আমাদের দেশে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের যে বিকল্প ধারা এটা মূলত সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণের ফসল। পুনরায় ব্যয়–বরাদ্দ করে চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণ কোর্সটি সচল করার উদ্যোগ নেয়া যায়, এবং ৩) ফিল্ম আর্কাইভে কেবল উপকরণ সংগ্রহই নয়, সেগুলোর কপি করে কৌতূহলী দর্শক–পাঠককে সহজ প্রক্রিয়ায় সরবরাহের ব্যবস্থা এবং একই সাথে আর্কাইভ বা তথ্য মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র সম্পর্কিত একটি ফিল্ম জার্নাল ও বইপত্র প্রকাশের উদ্যোগ নিতে পারে।
আজ আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পে পুঁজির প্রবাহ অনেক ধীর ও মন্থর, যা একটি শিল্পের ক্রমোন্নতিতে সহায়ক নয়। তাই ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রশিল্পের টেকসই বিকাশের জন্য বাড়তি পুঁজির প্রবাহ বা বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। যা কেবল যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমেই সরবরাহ করা সম্ভব। বাংলা ভাষা বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা। হিন্দির অবস্থান হচ্ছে পঞ্চমে। অথচ হিন্দি ছবি আন্তর্জাতিক বাজার পেয়েছে। এমনকি মালায়াম বা তামিল ছবিও এ রকম বাজার করে নিয়েছে। তাই বাংলাদেশের ছবিও আন্তর্জাতিক বাজার পেতে পারে। তার জন্য চাই পুঁজি, প্রযুক্তি, উন্নত পরিবেশনা ব্যবস্থা, ভালো কাহিনি, ভালো পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীসহ এসবের সঠিক সমন্বয় ঘটানো। প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ চলচ্চিত্রবিষয়ক অন্যান্য পুরস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ দেশে সুস্থধারার চলচ্চিত্রনির্মাণে একদিকে যেমন অনুপ্রেরণা জোগাবে; অন্যদিকে সৃজনশীল, শিক্ষিত, মেধাবী ও দেশপ্রেমিকদের এ শিল্পের হাল ধরার জন্য এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে। চলচ্চিত্রশিল্পের ক্ষেত্রে পুঁজির যে সংকট বিদ্যমান তা থেকে উত্তরণের জন্য বিত্তবান সম্প্রদায়কে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে হবে। দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহসমূহের যথাযথ মান নির্ধারণপূর্বক এ সবের প্রজেকশন সিস্টেম, সাউন্ড সিস্টেম ও স্ক্রিন সিস্টেমের আধুনিকীকরণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নতকরণ এবং সামগ্রিক সুবিধা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা বহুবিধ এটা যেমন সত্য, পাশাপাশি সম্ভবনাও অফুরন্ত। এ শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ প্রভৃতি বিভিন্ন মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে হবে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন মূলত বাণিজ্যিক বা বিনোদন সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি সামাজিক সমস্যাসমূহ চলচ্চিত্র মাধ্যমে তুলে ধরা। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সুস্থ, শৈল্পিক এবং বিনোদন নির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সামগ্রিকভাবে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে আধুনিকায়ন করা জরুরী। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে এবং মেধাবী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নির্মাণে আকৃষ্ট করতে সরকারি অনুদানের অর্থের পাশাপাশি অনুদানের সংখ্যা যুক্তিসঙ্গতভাবে বাড়ানো প্রয়োজন। ক্ষেত্র বিশেষে ভর্তুকি প্রদানের প্রয়োজন রয়েছে। এ মাধ্যমের বিকাশ ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনে অন্য দেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করা যায়। এ ধরনের কাজের পথ সুগম করার মানসে বিদেশি সংস্থা/প্রযোজকদের সাথে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে আশার বাণী হচ্ছে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্রকে ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ঘোষণা অনুযায়ী ঋণ সুবিধা প্রদান এবং বিদ্যুৎ বিল গ্রহণে কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্স নির্মাতাদের ৫ বছরের কর রেয়াদ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। সরকার প্রতিবছর ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ২০১২ সালে। অবশ্য এর পিছনে ঐতিহাসিক কারণও রয়েছে। ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মাননীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘দ্য ইস্ট পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন বিল–১৯৫৭’ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে উত্থাপন করেন। সামান্য সংশোধনী শেষে ঐ অধিবেশনেই বিনা আপত্তিতে বিলটি সেদিন পাস হয়। এরই পরিপেক্ষিতে পরবর্তীতে ইএফডিসি এ্যাক্ট, ১৯৫৭ প্রণীত হয়। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণেই প্রতিষ্ঠিত হয় ইপিএফডিসি, যা আজকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন।
নবম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন–২০১৩’ গৃহীত হওয়ার পর তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং এর প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। বেসরকারিভাবে ‘ইমপ্রেস’ এবং ‘বেঙ্গল গ্যালারি’ নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চার শতাধিক সিনেমা হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার পাশেই কবিরপুরে চলচ্চিত্র নির্মাণের সকল প্রকার অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি’ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রের সাংগঠনিক দিকগুলো শিল্পের অন্য যেকোনো মাধ্যম থেকে পৃথক; অন্য শিল্প মাধ্যমের চেয়ে চলচ্চিত্রের ভাষা, প্রয়োগ–কৌশল কিংবা উপস্থাপনা–শৈলী সবকিছুই ভিন্ন। ফলে এর অধ্যয়নরীতিও ভিন্নতর। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র বিভাগ চালু হয়েছে। চলচ্চিত্র বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণকারী তরুণদের অনেকেই প্রত্যক্ষভাবে চলচ্চিত্র শিল্পের বিভিন্ন শাখায় তাঁদের মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশেষ করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। ব্যাপক অধ্যয়ন ও গবেষণা ছাড়া চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন সম্ভব হবে না। এছাড়া চলচ্চিত্র সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণার মাধ্যমে দেশে চলচ্চিত্র অধ্যয়নের প্রয়োজনীয় আবহ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীগণ এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মন প্রাণ দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্রে অনুদান বৃদ্ধি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রদান, সিনেমা হল চালু করার জন্য ঋণ প্রদান, এফডিসিকে আরও আধুনিক ও বড় পরিসরে নির্মাণ করা, চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, দেশের ছবি বিদেশে পাঠানো প্রভৃতি বিভিন্ন উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেন। ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার–২০২০’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ–সুবিধা সম্বলিত সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স স্থাপনের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চলচ্চিত্রশিল্প ছিল অ্যানালগ যা আমি ডিজিটাল করতে চাই। তার সরকার পুরনো চলচ্চিত্রকে ডিজিটালাইজড করার পদক্ষেপ নিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে সমাজের প্রতিবিম্ব হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শিল্প সমাজ সংস্কারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া চলচ্চিত্রের জন্য আর্কাইভ এবং ট্রেনিং সেন্টার করে দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র অনেক বার্তা দিয়ে যায় এবং ইতিহাসের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে, যেটা ইতিহাসকে ধরে রাখে। অনেক অজানাকে জানার যেমন সুযোগ করে দেয়, তেমনি অনেক হারিয়ে যাওয়া ঘটনাকেও সামনে নিয়ে আসে। আবার চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই দেশ ও জাতির প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ, ভালোবাসা বা দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়। কজেই সেদিক বিবেচনায় চলচ্চিত্রের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণের যে সুযোগ রয়েছে, তাকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সবাইকে আমি এ আহ্বান জানাব, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন, গণমানুষের যে আত্মত্যাগ এবং আমাদের এগিয়ে চলার পথটা যেন মানুষের সামনে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করা হয়।
লেখক: শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।











