বান্দরবানের গোয়ালিয়া খোলা থেকে গরু চুরি করে প্রাইভেট কারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাতকানিয়ায় তিন চোরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
এসময় গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত কারটি ভাঙচুর করা হয়েছে।
গ্রেফতার চোররা হলো মো. আরমান (৩৬) ও মো. ফয়সাল (৩৮)। অপর একজনের নাম পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের সাতকানিয়াস্থ অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আজ বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে একদল গরু চোর বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলা এলাকা থেকে একটি গরু চুরি করে প্রাইভেট কারযোগে নিয়ে যাচ্ছিল।
এসময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে চোরদের কারটিকে ধাওয়া করে।
এদিকে, গরু চুরি করে প্রাইভেট কারযোগে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গরুর মালিক ফোন করে সাতকানিয়ার বাজালিয়া এলাকায় থাকা আত্মীয়-স্বজনদেরকে জানায়।
তখন গরুর মালিকের আত্মীয়-স্বজনরা মিলে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে বাজালিয়া অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজের সামনে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পাহারা দিতে থাকে।
দুপুর বারোটার দিকে গরু বহনকারী প্রাইভেট কারটি আসলে ব্যারিকেডের সামনে থামানো হয়। তখন প্রাইভেট কার থেকে নেমে একজন দ্রুত পালিয়ে যায়। কারে থাকা অন্য তিনজন গরু চোরকে আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা।
গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত কারটি ভাঙচুর করা হয় এবং চুরিকৃত গরু উদ্ধার করা হয়।
পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় গরু চোরদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, “গণপিটুনির শিকার তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, একদল চোর বান্দরবানের গোয়ালিয়া খোলা থেকে গরু চুরি করে প্রাইভেট কারযোগে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বাজালিয়ায় গরু চোরদেরকে আটক করে গণপিটুনি দেয় জনতা। তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ প্রহরায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।