মীরসরাইয়ের হাট–বাজারে একসময় উত্তরাঞ্চলের তরমুজই ছিল ভরসা। আর এখন মৌসুম এলেই নিজ এলাকার তরমুজেই হাট সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অনেকে বিক্রি করছে পাইকারদের কাছে। বিশেষ করে ইছাখালী ও কাটাছরা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে তরমুজ চাষে সফল এখন এলাকার চাষিরা।
গত কয়েক বছর ধরেই এখানে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। আগে চরের জমিগুলো পতিত পড়ে থাকতো। পাশাপাশি চরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ছিল না বলে এখানকার উৎপাদিত কিছু অন্য কোথাও সরবরাহ করা যেত না। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এখানকার
চাষিরা সুস্বাদু ও মিষ্টি তরমুজের চাষ করছেন। জানা যায়, মীরসরাইয়ের ইছাখালী, কাটাছরা ও সাহেরখালী ইউনিয়নের চর এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এইসব এলাকায় তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি এখন। ইয়াখালির তরমুজ চাষী সাইফুল আলম (৪৩)
বলেন, গত ডিসেম্বর মাস থেকেই ১০–১৫ হাজার টাকায় বিভিন্ন কৃষকের জমি বর্গা নিয়ে বীজ রোপন করেছি। বর্তমানে জমিতে তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় বেশ ভাল লাগছে। প্রতি জমিতে প্রায় ৪০–৫০ হাজার টাকা বিক্রি উঠতে পারে বলে আশা করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া
তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। ইছাখালী ও সাহেরখালী ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকায় প্রায় ৭০ একরের বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এখন তাদের জমি থেকে তরমুজ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন দিন চাষি ও চাষের সংখ্যা বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ইছাখালীতে তরমুজের ব্যাপক চাষ ও ভাল ফলন হয়েছে। তরমুজ চাষে পরিশ্রম বেশি পাশাপাশি ফলনও বেশি পাওয়া যায়। আগামীতে আমরা কৃষকদের বারোমসি তরমুজ চাষের প্রশিক্ষণ ও চাষের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো বলে জানান কৃষি বিভাগ।