কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় নতুন আরেকটি সোলার প্যানেল বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এই সোলার প্যানেল থেকে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। নতুন সোলার প্যানেল বসানোর জন্য জায়গাও ঠিক করা হয়েছে। অচিরেই নতুন সোলার প্যানেল বসানোর কাজ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এবিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ব্রিকফিল্ড এলাকায় নতুন সোলার প্যানেল বসানো হবে। এই সোলার প্যানেল বসানোর কাজ সম্পন্ন হলে এখান থেকে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় ইতোপূর্বে আরেকটি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছিল। ওই সোলার প্যানেলটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন। ঐ সোলার প্যানেল থেকে বর্তমানে ৭.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এই সোলার প্যানেল থেকে অতিরিক্ত আরো ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের।
প্রসঙ্গত কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে ভয়াবহ পানির সঙ্কটে রয়েছে। কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ৭৬ ফুট মীন সি লেভেল পানি রয়েছে। এই পানির স্তর ৭০ ফুট মীন সি লেভেলে নেমে আসলে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন সোলার প্যানেল বসানোর খবর সবাই ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন।
তবে ব্রীক ফিল্ডের যেস্থানে নতুন সোলার প্যানেল বসানোর প্রস্তুতি চলছে সেখানে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কয়েকটি পরিবার বসবাস করে আসছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন সোলার প্যানেল বসানোর কাজ শুরু হলে তাদের এই স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। এখন উচ্ছেদ আতঙ্কে ব্রিক ফিল্ড এলাকায় বসবাসকারি পরিবার গুলো আতঙ্কে রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।












