কোম্পানি লোকসানে, কোনো কোনোটি লভ্যাংশ দিচ্ছে না কয়েক বছর ধরে, কোনো কোনোটি উৎপাদনেই নেই, কোনো কোনোটির লভ্যাংশ এলেও পরিমাণে তা নগণ্য, অথচ মন্দার পুঁজিবাজারে এসব কোম্পানিরই কদর দেখা যাচ্ছে।
রোজায় প্রথম দুই কর্মদিবসে ফ্লোর প্রাইসের বেশি থাকা কোম্পানির শেয়ারদর ও সূচকের পতন হলেও তৃতীয় কর্মদিবসে তা বাড়ল। গতকাল বুধবার শেয়ারদর বেড়েছে অনেকটাই, তবে স্বল্প মূলধনী এসব কোম্পানির দাম বাড়লে বা কমলে সূচকে তেমন প্রভাব পড়ে না। ফলে দিন শেষে সূচক বাড়েনি খুব একটা। খবর বিডিনিউজের।
বুধবার ৮০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৭টির। তবে বড় মূলধনী আর শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যায়নি। ৮০টির বেশি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি, আরও দেড় শতাধিক কোম্পানির লেনদেন হয়েছে নামমাত্র। ফলে একশর কিছু বেশি কোম্পানির ওপর ভর করে আছে পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এঙচেঞ্জে ৩৯২টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত থাকলেও এদিন লেনদেন হয়েছে ৩০৫টির। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ৫৭টি কোম্পানির। ৮৫টি কোম্পানির একটি শেয়ারও লেনদেন হয়নি।
দুই দিনে ২১ পয়েন্ট কমার পর সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। তবে ক্রয়চাপে লেনদেন বেড়েছে অনেকটাই। মঙ্গলবার গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকার শেয়ার কেনাবেচা হলেও তা বেড়েছে একশ কোটি টাকার বেশি। এদিন লেনদেন ছিল ৩৮০ কোটি টাকার বেশি, যা আগের দিন ছিল ২৭০ কোটি টাকার ঘরে। তবে এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা বড় মূলধনী কোম্পানির কোনো নড়চড় দেখা যায়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বাধায় শেয়ারদর কমতে পারছে না, কিন্তু শেয়ার বিক্রিও করতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা।
এমনকি লভ্যাংশের মৌসুম চলে এলেও ব্যাংকের শেয়ার আগ্রহ নেই। অন্যান্য বছর এই সময়ে বীমা কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় গতি দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে না তা। অথচ ৩৫টি ব্যাংকের মধ্যে হাতে গোনা এক–দুইটি ছাড়া বেশিরভাগের লভ্যাংশ বেশ ভালো আসে প্রতি বছর।