ভারত থেকে গত ১০ দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। আমদানি বন্ধের জের ধরে দেশের বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬–৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। ব্যবসায়ীরা কারসাজির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করছেন। গতকাল চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬–৮ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২–৩৬ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়ে কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আমদানি করা হয় বাকি ৪ লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আজাদীকে বলেন, গত ক’দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। বাজার চাহিদা বাড়ার কারণে মোকামে দাম বেড়েছে। পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য। চাইলেই বেশিদিন মজুদ করে রাখা যায় না। তাই পেঁয়াজ সিন্ডিকেট কারসাজির অভিযোগ সঠিক নয়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র পরিকল্পিত কারসাজির মাধ্যমে ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ দেশে সরবরাহ ও মজুদের ঘাটতি নেই। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানা হয়।