আনোয়ারায় গার্মেন্টসকর্মী গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে এএসআই ফারুককে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত ১৫ মার্চ জনৈক পোশাককর্মী (১৬) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রধান আসামি রকির সঙ্গে পারকী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় রকির অপর তিন বন্ধু পলাশ, (২৬), শিপংকর (২৭) ও চন্দন (২৫)। পরে তারা সেখান থেকে সিএনজি যোগে চাতরী ইউনিয়নের পূর্ব সিংহরা গ্রামের
কালাগাজী সড়কের একটি কলাবাগানে নিয়ে ঐ পোশাককর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি চক্র দেন–দরবার করে। এই ঘটনায় পুলিশের এএসআই ফারুক বিকাশের মাধ্যমে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে প্রধান আসামি রকিকে (২৫) ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তদন্তে তার সত্যতা মিলে তদন্তকারী দল। গতকাল তাকে ক্লোজড করে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এর আগে গত বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) আরিফ হোসেন অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে আসেন। তদন্তের সময় তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং টাকা প্রদানের বিষয়ে বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মো. হাছান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় সহকারী উপ–পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুককে ক্লোজড করে দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।