বন্দর থেকে কন্টেনার পাচারে জড়িত ৮ জন গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যভর্তি কন্টেনার পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কন্টেনার ইয়ার্ড (গুপ্তখাল) থেকে তিনটি ট্রেইলরে পণ্যবোঝাই দুটি কন্টেনার বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় গেটে আটকে দেওয়া হয়। এ সময় দায়িত্বরত গোয়েন্দা নিরাপত্তা সদস্য নজরুল ইসলামকে মারধর করে একটি খালি ট্রেইলর নিয়ে চালকের সহকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি দুটি ট্রেইলরের চালক ও সহকারীসহ চারজনকে আটক করে বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীরা। আটককৃতদের দেওয়া তথ্যে পরবর্তীতে ইপিজেড থানা পুলিশ বন্দরের পরিবহন ও নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত চারজনকে আটক করে। তারা হলেন পরিবহন বিভাগের নিম্নমান বহিঃসহকারী মো. আব্দুল হাকিম (৩৪), নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী কাজী আবু দাউদ (৪৮), বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা শাখায় পদায়ন হওয়া আনসার সদস্য অনুকুল বিশ্বাস (২৫) ও এনামুল হক। আটক বাকি চারজন হলেনলরিচালক জালাল উদ্দিন (২৩), আইয়ূব আলী (২৩) ও নাজমুল হোসেন (২৭) এবং সহকারী নুরুল ইসলাম (২০)। পরে আটক ৮ জনসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকের কার্যালয়ের অধীন সহকারী উপপরিদর্শক মারুফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাময়িক বরখাস্ত থাকা বন্দরের নিরাপত্তা পরিচালকের দফতরের নিরাপত্তারক্ষী মোজাম্মেল হোসেন রবিনের (৩৭) সঙ্গে কন্টেনার খালাসের যন্ত্রাংশ পরিচালনায় নিয়োজিত অপারেটরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জব্দ করা কন্টেনার দুটির মধ্যে একটিতে প্লাস্টিকের দানা এবং অপরটিতে থান কাপড় ছিল। উদ্ধার করা পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তথ্য পেয়েছিসাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থাকা বন্দরের নিরাপত্তা পরিচালকের দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষী মোজাম্মেল হোসেন নথিপত্র জমা না দিয়ে লরিচালকদের ইয়ার্ডে প্রবেশের ব্যবস্থা করেন। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দরের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের যোগসাজশ আছে। যারা খালাসে জড়িত তারাও পর্যাপ্ত নথি চেক করেননি অথবা নথিপত্র ছাড়াই পণ্য নিয়ে যেতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে। লরিগুলো যেসব প্রতিষ্ঠানের তাদের কারও সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটাও আমরা যাচাই করে দেখছি।

তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারের পর আমরা আদালতের নির্দেশে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বন্দরের কর্মচারী, আনসার সদস্য, লরিচালক, সহকারী মিলে এটা পুরো একটা চক্র, যারা জাল নথিপত্র দিয়ে কন্টেনার খালাসের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। সর্বশেষ যে দুটি কন্টেনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে বের করে নেয়া হচ্ছিল, সেগুলোর জন্য কোনো নথিপত্রও দাখিল করা হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচোরাই গরু ব্যবসার দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, নিহত ১
পরবর্তী নিবন্ধআজ সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা