‘বিষাক্ত বর্জ্যে’ ১২ গরু-মহিষের মৃত্যু

সিইউএফএল বন্ধ, দায় নিচ্ছে না ডিএপি কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১০ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় আবারও সার কারখানার ‘বিষাক্ত বর্জ্য’ পানি খেয়ে ১২ গরুমহিষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিইউএফএল সার কারখানার পশ্চিমে গোবাদিয়া খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন মরা গরুমহিষগুলো নিয়ে ডিএপি সার কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিএপি কর্তৃপক্ষ। পরে স্থানীয়দের দাবির মুখে ডিএপি সার কারখানার পক্ষ থেকে মৃত গরুমহিষগুলোর মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করতে পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বিষক্রিয়ায় মো. এরফানের ১টি মহিষ, মো. ইব্রাহিমের ১টি, কাশেমের ৩টি, জহুর লাল সিংহের ১টি, মো. ছৈয়্যদ জামালের ১টি গরু, মো. একরামের ২টি মহিষ, মো. জাকেরের ১টি মহিষ, মো. কামাল

হোসেনের ১টি মহিষ, মো. পারভেজের ১টি সহ মোট ১২টি গরুমহিষ মারা যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ জানান, সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে এর আগেও বেশ কয়েকবার বিষাক্ত পানির কারণে অনেক গরুমহিষ মারা গেছে। তিনি বলেন, আমরা বারবার স্থায়ী একটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে আসলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। এবারও গরুগহিষ মারা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছে। রাতে মৃত পশুগুলোর পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিবে বলেছে ডিএপি কর্তৃপক্ষ।

সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান জানান, সিইউএফএল তিন মাস ধরে বন্ধ। কারখানা এখন উৎপাদনে নেই। আমাদের বিষাক্ত পানি বের হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

ডিএপি সার কারখানার মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, আমাদের কারখানা থেকে যে পানি বের হয় তাতে পশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তারপরও মৃত পশুগুলো পোস্টমর্টেম করে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআউটার স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধ করল জেলা প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধকমেছে সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছের সরবরাহ