চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত একজন মারা গেছেন। তার নাম প্রবেশ লাল শর্মা বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল সাতজনে।
বিস্ফোরণের পরদিন রবিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবেশ লাল শর্মার মৃত্যু হয়।
৫৫ বছর বয়সী প্রবেশ সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার ছেলে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশেক জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইসিইউতে ওই রোগী মারা যান।
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয়জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছে বেসরকারি ওই কারখানায় শনিবার বিকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কারখানাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিস্ফোরণে কারখানার বিভিন্ন সরঞ্জাম উড়ে কয়েকশ’ গজ দূরে গিয়েও পড়ে।
১৯৯৬ থেকে সচল এই কারখানাটিতে যে প্ল্যান্টটি বিস্ফোরিত হয়েছে তা ২০১৭ সালে চালু হয় বলে জানিয়েছেন কারখানার কর্মকর্তারা।
এই ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি রবিবার পরিদর্শনের পর ধারণা করছে, প্ল্যান্টের ‘এয়ার সেপারেশন কলাম’ থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত।